রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক কিশোরী। সামাজিকভাবে ঘটনাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় শিশুর জন্ম পরিচয়ের স্বীকৃতি পেতে অনিক হাসান ছোটন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ওই কিশোরী।
আদালতে দায়ের করা মামলা ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নৈপুরুয়া গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে অনিক হাসান ছোটনের (২০) সঙ্গে একই ইউনিয়নের ওই কিশোরীর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এ প্রেম চলে দীর্ঘদিন ধরে। গত বছরের ১ আগস্ট কিশোরীর মা হাসপাতালে থাকায় খালি বাড়ি পেয়ে ছোটন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বিষয়টি কিশোরীর মা জানতে পেরে আত্মসম্মান রক্ষায় গোপনে ছোটনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। ছোটন তাদেরও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এদিকে কিশোরীর গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে ছোটন কিশোরী ও তার সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায়। কিন্তু অভিযুক্ত অনিক হাসান ছোটন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে সালিশে ছোটনের বাবা ছিদ্দিক হোসেনও ঘটনা অস্বীকার করায় বিষয়টি এলাকাবাসীর মীমাংসার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
পরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-১ এ একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে হোসেনপুর থানাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিশোরীর মা বলেন, ছোটন আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সর সময় তাকে পাহারা দিয়ে রেখেছি যাতে এই ঘটনা সে ঘটাতে না পারে।
অভিযুক্ত ছোটনের বাবা ছিদ্দিক মিয়া জানান, আমার ছেলে আমাদের কাছে সব অস্বীকার করেছে। ডিএনএ টেস্টের ফলাফলে যদি এ সন্তান ছোটনের হয় তাহলে আমরা মা ও সন্তানকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসব। হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা আদালতের একটি নির্দেশনায় নারী নির্যাতন মামলা নথিভুক্ত করেছি। আসামি অনিক হাসান ছোটনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।