বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক আরেকটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ার্স ট্র্যাকার অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলীয় সময় বুধবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে মাস্কের নেটওয়ার্থ দাঁড়ায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারে, অর্থাৎ প্রথম অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক তিনি।
গত ডিসেম্বরেই তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে পৌঁছান। বর্তমানে মাস্ক দ্বিতীয় স্থানে থাকা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৫০ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে এবং বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্ধেক পথ পেরিয়েছেন।
টেসলার শেয়ারের দাম বুধবার প্রায় ৪% বেড়ে মাস্কের সম্পদে আরও ৯.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ করে। এপ্রিলের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)’-র প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে এসে টেসলার দিকে বেশি সময় দেবেন। সেই ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায় এবং টেসলার শেয়ার প্রায় দ্বিগুণ হয়। বর্তমানে কোম্পানির বাজারমূল্য আবার সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। মাস্কের ১২% শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯১ বিলিয়ন ডলার।
তবে ২০১৮ সালের সিইও ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের আওতায় পাওয়া স্টক অপশনগুলো বাদে এ হিসাব করা হয়েছে। এগুলোর বর্তমান মূল্য হতো প্রায় ১৩৩ বিলিয়ন ডলার, তবে সেগুলো এ বছর জানুয়ারিতে ডেলাওয়্যার কোর্ট বাতিল করে দেয়। মাস্ক আপিল করেছেন এবং ফোর্বস আপাতত ৫০% ছাড় দিয়ে ওই শেয়ারগুলোর মূল্য হিসাব করছে। এরই মধ্যে টেসলার বোর্ড একটি নতুন রেকর্ড পে-অ্যাকেজ প্রস্তাব করেছে, যা কার্যকর হলে মাস্কের হাতে অতিরিক্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলারের শেয়ার আসতে পারে, যদি কোম্পানি নির্ধারিত ‘মার্স-শট’ পারফরম্যান্স লক্ষ্য পূরণ করে।
টেসলার পাশাপাশি মাস্কের রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-ও তার সম্পদ বৃদ্ধির বড় উৎস। আগস্টে একটি প্রাইভেট টেন্ডারে কোম্পানির মূল্য দাঁড়ায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৩৫০ বিলিয়ন।
গত পাঁচ বছরে মাস্ক একের পর এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছেন। ২০২০ সালের মার্চে তার সম্পদ ছিল মাত্র ২৪.৬ বিলিয়ন ডলার। কয়েক মাস পরই টেসলার শেয়ারের উত্থানে তিনি ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবে প্রবেশ করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রথমবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হন প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে। একই বছরে সেপ্টেম্বরে তিনি ২০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে ওঠেন, নভেম্বরে ৩০০ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছুঁয়ে ফেলেন ৪০০ বিলিয়ন ডলার। আর এখন, ২০২৫ সালে তিনি প্রথমবারের মতো ছুঁলেন অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার!