মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: জেন-জিদের বিক্ষোভ ও সহিংসতার মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতিবিরোধী স্লোগানে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নামা জেন-জি প্রজন্মের বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন এবং সোমবার পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে প্রধানমন্ত্রী অলি লিখেছেন, সাংবিধানিক পথে সংকটের সমাধানের পথ তৈরির জন্য তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেও নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ করতে শুরু করেছে বিক্ষুব্ধ জেন-জি প্রতিবাদকারীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় তাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জমায়েত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জরিপ বিভাগের ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় চারপাশ ধোঁয়ার মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
এর আগে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খোলার দাবির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ শতাধিক মানুষ আহত হন।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগের পর মঙ্গলবার কৃষি ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাম নাথ অধিকারী এবং পানি সরবরাহ মন্ত্রী প্রদীপ ইয়াদবও পদত্যাগপত্র জমা দেন।