শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন

বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টার হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার 

বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টার হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার 

নিজস্ব প্রতিনিধি, দোহারঃ ঢাকার দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ মাস্টারের হত্যাকণ্ডে জড়িত দুই আসামি শরিফ ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে দোহার থানা পুলিশ। এই খবরে বৃহস্পতিবার দুপুরে থানার প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করেন নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

এসময় তারা আসামীদের ফাঁসির দাবিতে  বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করে। পরে দোহার থানা ওসি হাসান আলী এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পাশাপাশি মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানায়, হত্যাকান্ডের মিশনে উপস্থিত থাকা দুইজনকে বুধবার ভোরে চট্রগ্রাম মহানগর এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে দোহার থানা পুলিশ। এরা হলো নবাবগঞ্জের নতুন বান্দুরা এলাকার তালেব আলীর ছেলে মো. শরীফ (২৬) এবং দোহারের  আড়িতা এলাকার হান্নান মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (২২)। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ দুইজন জানায় হত্যাকান্ডের সময় তারা উপস্থিত ছিলো।

তারা তিন মাস আগে থেকেই হারুন মাষ্টারকে হত্যার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করে  ব্যর্থ হয়। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে চেষ্টা করছে। পুলিশ তাঁদেরকে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে বৃহষ্পতিবার বিকেল তিনটায় আদালতে প্রেরণ করে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, পুলিশ আসামী ধরলেও ঘটনার পিছনে মূল হোতাদের বিষয়ে কিছুই করছে না। কার ইশারায় হারুন মাষ্টারকে হত্যা করা হয়। সে বিষয়ে পরিস্কার জানতে চায় জনগণ। মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী সামসুল ইসলাম জামিনে বের হয়ে এলাকায় প্রকোশ্যে কিভাবে ঘুরে সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।

 এদিকে হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামীর গ্রেপ্তারের কথা ছড়িয়ে পড়লে আজ দুপুরে নয়াবাড়ী ইউনিয়নের লোকজন ও নিহতের স্বজনরা দোহার থানা চত্বরে বিক্ষোভ করে তাঁদের ফাঁসির দাবি জানায়। এসময় পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী সবাইকে বলে শান্ত করে। এসময় তিনি বলেন, হত্যায় জড়িত মূল আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধারেও চেষ্টা করছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই সকালে নয়াবাড়ি এলাকায় পদ্মার তীরে প্রকাশে গুলি করে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা হারুন মাস্টারকে। তিনি  ওই সময় প্রাত:ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। হারুন অর রশিদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাহ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com