বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নবাবগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. শামীমসহ চাাঁদাবাজি ও মাদক মামলায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার(১৫ জুলাই) গভীর রাত হতে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় মাদক মামলায় ৪জনকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের নিকট হতে ৪৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হেরোইন উদ্ধার করা হয়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাতে অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সজীব (৩৫), মাইনুল হোসেন (৩৫), ইসরাফিল হোসেন (২৩) ও মায়া আক্তার (৩০) নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৬০ পিস ইয়াবা ও হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
একই দিন উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঘোষাইলে থেকে ছাত্রজনতার উপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের উপজেলা সভাপতি শামীম হোসেনকে আটক পুলিশ।
এদিকে শিকারীপাড়ার বক্তারনগর এলাকার দুলু খান নামে এক কৃষকের করা মামলায় ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, নয়নশ্রীর বিপ্রতাশুল্যা মৌজায় ওই কৃষকের একটি জমিতে জোরপূর্বক মাটি কাটতে চায় স্বপন, কোব্বাত, আলমাস ও বাহ্রার ফয়সাল সিন্ডিকেট। এতে সে রাজি না হওয়ায় তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এঘটনায় বারুয়াখালীর স্বপন, বিপল্লীর আলমাস, মো. কোব্বাত আলী ও বাহ্রার ফয়সালসহ ৭জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে মামলা করেন দুলু খান। বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে মামলার ৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিবুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় ৭ জন, মাদক মামলা ৪ জন ও রাজনৈতিক মামলায় ১ জনসহ ১২জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, চাঁদাবাজ কোন দলের নয়, তাঁদের পরিচয় চাঁদাবাজ৷ ‘ চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক না কেন কঠোরভাবে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
তিনি আরও জানান, নবাবগঞ্জ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে থানা পুলিশ। এসব বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না৷