সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন

নিষিদ্ধ ওষুধে কোরবানির গরু মোটাতাজাকরণ!

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও ইনজেকশন প্রয়োগ করে মোটাতাজাকরণ হচ্ছে কোরবানির গরু। রোগাক্রান্ত কিংবা কম ওজনের গরু,ছাগল ও মহিষের দ্রুত ওজন বাড়াতে ’পাম’ বড়ি খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খামারে গরু অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা ব্যাপক। দাম বেশি হলেও কোরবানির জন্য খামারের গরু বেশি পছন্দ ক্রেতাদের। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অধিকাংশ খামারের গরু মোটাতাজাকরণ হচ্ছে ক্ষতিকর ট্যাবলেট স্টেরয়েড, প্রি ডেক্সানল, ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন, পেরিঅ্যাটিন, প্যারাডেক্সা, ওরাডেক্সান বড়ি এবং ভারতের পারকোটটিন ও থাইল্যান্ডের মাইকোটিন ট্যাবলেট খাওয়ানোর এক সপ্তাহের মধ্যে গরু মোটা হতে থাকে। খামারে পালন করা গরু কোরবানি ঈদের ২/৩ সপ্তাহ আগে থেকে পশু হাটগুলোতে ওঠা শুরু হয়।

প্রাণী সম্পদ অফিস সুত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলায় ছোট-বড় মিলে গরু খামারের সংখ্যা প্রায় আড়াই শত। ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৫ সালে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং বিএসএফ সদস্যরা কড়াকড়ি করলে গরু আসা কমে যায়। রাজশাহীর পশু হাটগুলোতে ভারতীয় গরু কম ওঠার কারণে প্রতিবছর কোরবানির জন্য গরুর সংকট দেখা দেয়। এতে দেশি গরুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে খামার গড়ে উঠেছে।
বাঘা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, এসব ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গরুকে এসব ট্যাবলেট খাওয়ানো ও ইনজেকশন প্রয়োগ করা মাত্রই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মানব দেহের জন্যও ক্ষতিকর। পুষ্টিকর খাদ্য খাইয়ে গরু মোটাতাজা করতে প্রাণীসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে স্ট্রেয়েড ও ডাইক্লোফেন জাতীয় ওষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করতে নিষেধ করা হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিকারক নানা ধরনের ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা করে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা রেখে,পশু খাদ্যেসহ অপদ্রব্য ব্যবহার রোধ করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করে প্রচার চালানো হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com