বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: জুলাই শহীদদের স্মরণে এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচী পালন করেছে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে পালন করা হয় এ কর্মসূচি।
সকাল সাড়ে ১১টায় নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জুলাই গণঅভ্যূত্থানে প্রত্যেক শহীদদের স্মৃতিকে স্মরণ এবং পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে টেকসই চিহ্ন রাখতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় নবাবগঞ্জ উপজেলার কামার খোলার শহীদ শেখ রাকিব ও শোল্লার উত্তর বালূখন্ড গ্রামের শহীদ আতাউর রহমান ইয়াসিনের জন্য উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে দুইটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপন করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারবর্গকে সেলাই মেশিন ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম।
এসময় শহীদ রাকিরে মা সুইটি আক্তার বলেন, দেশের জন্য তাঁরা জীবন দিয়েছেন। শহীদদের স্মরণে সরকারের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি নেয়ায় আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। সন্তানদের দেখতে না পেলেও উপজেলা পরিষদে এসে কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখে হাতের অনুভব করতে পারব। শহীদ ইয়াছিনের বাবা মো, রতন বলেন, ছেলে হারানোর এক বছর পার হলেও সরকারী কোনো সহায়তা পাননি তিনি। সকলের কাছে দোয়া চান শহীদ ইয়াছিনের কাঠমিস্ত্রী এ বাবা। বৃক্ষ রোপনের পর শহীদ রাকিব ও শহীদ ইয়াসিনের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করে মোনাজাত করা হয়।
নবাবগঞ্জে জুলাই শহীদদের স্মরণে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি পালিত
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম বলেন, শহীদদের স্মরণে প্রতিটি গাছের সঙ্গে থাকবে জুলাই শহীদদের স্মৃতিফলক। সেখানে শহীদদের পরিচয় দেওয়া থাকবে। পাশাপাশি ফলকের সঙ্গে থাকবে একটি কিউআর কোড। এটি স্ক্যান করলে নির্দিষ্ট শহীদের জুলাই অভ্যুত্থানের ভূমিকা উঠে আসবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ রাকিবের মা সুইটি আক্তার, শহীদ আতাউর ইয়াছিনের বাবা মো. রতন, নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আসিফ রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. এসএম সাখাওয়াত হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মোল্লা, নবাবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আহতের বাবা মায়েরাও।
নবাবগঞ্জে জুলাই শহীদদের স্মরণে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি পালিত
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পুলিশ ও তাঁদের দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে সাভার এলাকায় নিহত হয় রাকিব। সে একটি লোহার কারখানায় কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলো। রাকিবের বাড়ি নবাবগঞ্জের চুড়াইন ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামে। আরেক শহীদ আতাউর রহমান ইয়াছিন সে দিন ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ে ঝাড়–দারের কাজ করতো। তার বাড়ি নবাবগঞ্জের শোল্লা ইউনিয়নের উত্তর বালুখন্ড। তিনিও ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।