বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:১৭ অপরাহ্ন

নতুনবাজারে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

নতুনবাজারে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: শিক্ষার্থীদের অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ একাধিক দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা মূল সড়কে অবস্থান নিলে নতুন বাজার-গুলশান-বনশ্রী সংযোগ সড়কে যান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে। সেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সকাল ৮টার দিকে ইউআইইউ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নতুন বাজার সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অপরপাশের সড়কে যান চলাচল করলেও সে সংখ্যা কম।

ইউআইইউ’র শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষার্থীদের অবৈধ বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়কে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।

এ বিষয়ে ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান জানান, বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ইউআইইউর শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, অবরোধস্থলে শিক্ষার্থীদের হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে, প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার, পা চাটলে পুরস্কার, না চাটলে বহিষ্কার, ‘বহিষ্কার প্রত্যাহার, করতে হবে করতে হবে, অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়, প্রাইভেটখাতে শিক্ষাকর, করতে হবে প্রত্যাহার, ১ ২ ৩ ৪, প্রাইভেট সংস্কার, ‘প্রাইভেট সব মাঠে থাক, সিন্ডিকেট নিপাত যাক- ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

মূলত, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ইউআইইউ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। ২৮ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হলেও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাদের ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করছে। বরং আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার ও তদন্তের ভয় দেখানো হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে ২৬ মের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করলে টিউশন ফির সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইউআইইউর ট্রাস্টি বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com