রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় ছাত্রীকে জামায়াত নেতা ও অধ্যক্ষ কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় মামলা হয়। এঘটনাসহ দোহার নবাবগঞ্জের সকল ধর্ষণের বিচার দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় জনতা।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নবাবগঞ্জ পুরাতন আদালত ভবন হতে একটি মিছিল নিয়ে কয়েকশ নারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমাবেশ করে। এ সময় তারা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিয়ে বিচার দাবি করেন।
শহীদ মিনারের পাদদেশ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নারী সমাজের নেত্রীরা বলেন, গত ৯ মাসে নবাবগঞ্জে ১৫টি ধর্ষণ, ১১ টি ধর্ষণ চেষ্টা ও ১২ টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তারা এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেন। একই সাথে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তারে দাবি জানায়। ধর্ষকের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তিনি অপরাধী তার বিচার করতে হবে এটাই চাওয়া।
এসময় এক মানবাধিকার নেত্রী (তাহমিনা) বলেন, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে এ সমাজ আরো অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। ৭১ এর চেতনায় তিনি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনসহ সকল মা বোনের ইজ্জত রক্ষায় একতা হওযার আহবান জানান। তিনি মাদ্রাসায় নারী ধর্ষণ নির্যাতন ও যৌন হয়রানিকে ইসলাম বিরোধী ও মানবাধিকার লঙ্গন বলে মনে করেন। এছাড়া সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিকে শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জের বাগমারায় আইডিয়াল মাদ্রসার ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী যৌন হয়রানি করে বলে অভিযোগ উঠে। এঘটনায় ২ অক্টোবর রাতে ওই ছাত্রীর মা নবাবগঞ্জ থানায় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে।