মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
জামালপুর প্রতিনিধি।। জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজের দুইদিন পর বৈশাখী (১২) নামে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার ভাটিতে মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এনিয়ে নদীতে ডুবে নিহত ৫ জন শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। নিহত শিশু বৈশাখী শেরপুরের নকলা উপজেলার টাংগালিয়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।
এই দুর্ঘটনায় বাকী নিহতরা হলো- মাদারগঞ্জ উপজেলার চর ভাটিয়ানী এলাকার প্রবাসী দুদু মিয়ার সন্তান সহোদর ভাই-বোন আবু হাসান (৮) ও মরিয়ম (১২), কাজিয়াবাড়ী এলাকার আজাদের মেয়ে কুলসুম এবং সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউশী এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইরা আক্তার (৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মাদারগঞ্জের চর ভাটিয়ানীতে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে বৈশাখী। পরদিন শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় সে। ঘটনার দুইদিন পর আজ রবিবার সকালে মাদারগঞ্জ উপজেলার চর ভাটিয়ানী এলাকায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার ভাটিতে ঝিনাই নদীতে নিখোঁজ শিশু বৈশাখীর মরদেহ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করে। এ পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মোট ৫ জন শিশু নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে যায় ৫ জন শিশু। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা সন্ধ্যায় সহোদর ভাই-বোনসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে কুলসুম ও বৈশাখী নামে দুই শিশু।
ঘটনার পরদিন গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে কুলসুমের মরদেহ উদ্ধারের পর বিকেলে অভিযান সমাপ্ত করে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে স্থানীয়রা নিখোঁজ সর্বশেষ বৈশাখীর মরদেহ উদ্ধার করে।
উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াহেদ আলী নান্নু জানান, সকালে স্থানীয়রা বৈশাখীর মরদেহ নদীতে ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে যায় ৬ জন শিশু। এ সময় ইয়াসীন নামে এক শিশু সাঁতরে তীরে উঠে এলেও বাকী ৫ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে।