মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের (সাদপন্থী) তাবলিগ জামাত মুসল্লিদের ভীড়ে কানায় কানায় পূর্ণ। কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:: কেরানীগঞ্জে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের (সাদপন্থী) পাঁচ দিনের তাবলিগ জামাত জোড়ে আট ঘন্টার ব্যবধানে দুই মুসল্লির বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।
নিহত দুই মুসল্লি হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগরা ইউনিয়নের বাসিন্দা জিন্নত আলী (৭০) ও সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শামছুউদ্দিন সরদার (৬৮)।
তাবলিগ জামাত সূত্রে জানা যায়, প্রথমে গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে শামছুউদ্দিন জিকিরের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আজ সোমবার বাদ ফজর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মৃতদেহ তার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার বিকেল চারটার দিকে জিন্নত আলী তাবলিগস্থলে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানাজার নামাজ শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তাবলিগ জামাতের গণমাধ্যম সমন্বক মো. সায়েম একুশের কণ্ঠকে বলেন, তাবলিগ জামাতে মুসল্লিদের সাথে জিকিরকালে শামছুউদ্দিন সরদার অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনাইসিভিডি) নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রোববার বিকেলে আরও এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, দুজন বার্ধ্যকজনিত কারণে ইন্তেকাল (মৃত্যুবরণ) করেছেন। জানাজা শেষে তাঁদের মৃতদেহ দাফনের জন্য নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের মেকাঈল এলাকায় জোড় তাবলিগ জামাত শুরু হয়। তাবলিগে মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ ও আরেক ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্ধলভি অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে তাবলিগস্থলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটেছে। এ তাবলিগে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্তত ২০টি দেশ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিদেশি অতিথি অংশ নিয়েছেন।