শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও রাজধানীতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে কেরানীগঞ্জের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
সোমবার সকাল থেকে নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, জিনজিরা পীর মোহাম্মদ পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জিনজিরা পীর মোহাম্মদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ক্লাস স্থগিত থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষগুলো ফাঁকা। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষ ও মাঠে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস না নিয়ে মিলনায়তন কক্ষে অবস্থান করছেন, কেউ কেউ ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে। বেলা ১১টার দিকে নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কক্ষে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে জান্নাতুল ফেরদাউস নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে আমরা ক্লাসে এসেছিলাম। পরে শিক্ষক এসে বললেন আজ ক্লাস হবে না, দুপুর পর্যন্ত থাকতে হবে। তাই আমরা ক্লাসে বসে আছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানকালে কথা হয় নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জহিরুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের দাবিকে আমরা সমর্থন করি। সরকার শিক্ষক নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে বসে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দফা দাবি বছরের পর বছর ঝুলে আছে। ন্যায্য দাবির জন্যে রাজধানীতে সমাবেশে অংশ নিয়ে পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। যারা জাতির ভবিষ্যত গড়ার কারিগর তাঁদের উপর এ হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, সকালে দুই থেকে একটি ক্লাস নেওয়ার পর শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে চলে যান। আমার জানা মতে, কেরানীগঞ্জের কয়েকটি বিদ্যালয় কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আমার জানা মতে কেরানীগঞ্জে খুবই অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠান কর্মবিরতি পালন করেছে। কারা কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন সেব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।