সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

এমপি আজিমের দেহ ৮০ টুকরো করা হয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: সময় যত গড়াচ্ছে ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা নিয়ে তত নৃশংস তথ্য সামনে আসছে। খুনের ঘটনায় আটক কসাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যেসব বিস্ফোরক তথ্য জানতে পারছেন ভারতের তদন্তকারীরা, তাতে তাদের মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়।

শনিবার (২৫ মে) পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন কসাই জিহাদ।

কলকাতা পুলিশ বলছে, কসাই জিহাদ জানিয়েছে, এমপি আনোয়ারুল আজিমের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউন, ভাঙড় এলাকার বিভিন্ন জায়গার জলাশয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে সে ৫০০০ টাকা পেয়েছে। আর তার এই স্বীকারোক্তির পর তদন্তকারীদের একাংশের মতে, সেসব খণ্ডাংশ উদ্ধার করা আরও কঠিন হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই তা কোনো না কোনো জলচর প্রাণীর পেটে চলে যেতে পারে।

গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে রাতে তিনি নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর তার হত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ বনগাঁ থেকে জিহাদ ও সিয়াম নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে জিহাদ পেশায় কসাই। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও মুম্বাইতে কাজ করতেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে কলকাতা পুলিশ জানতে পেরেছে, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে খুনের জন্য জিহাদকে ভাড়া করা হয়েছিল। মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসে কাজ শেষের পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর পরিকল্পনা ছিল জিহাদের। খুনের পর সংসদ সদস্যের দেহ টুকরো করে ভাঙড় এলাকার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাগাতার জলাশয় তল্লাশি চালিয়েও একটি অংশও এখনও উদ্ধার করা যায়নি।

ভারতীয় তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খুনের পর এমপি আনোয়ারুলের আজিমের দেহ ৮০ টুকরো করা হয়। মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে একেকটি টুকরো একেক জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। দেহাংশ খুঁজে পাওয়া কঠিন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com