শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি জনবিচ্ছিন্ন ও গুপ্ত রাজনৈতিক দল। নির্বাচনী মাঠের প্রতিপক্ষ জামায়াত ইসলামীকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন, ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবু আশফাক। প্রায় দেড় যুগ পরে চিরচেনা নবাবগঞ্জ শহীদ মিনারে প্রাণের উৎসবে মেতেছে বিএনপির নির্বাচনী উঠানসভা। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা শেষ উঠানসভা করেছিলো এখানে। এরপর আর কোনো নির্বাচনী সভা করার সুযোগ পায়নি দলটি।
বৃহস্পতিবার(২০ নভেম্বর) রাত ৮টায় নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর কাশিমপুর গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে উঠানসভা করেন দলীয় ভাবে ঘোষিত ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক। এসময় দলীয় কর্মী সমর্থক ছাড়াও বিএনপিপন্থী চিন্তা চেতনার নানা বয়সী মানুষ উপস্থিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা সেলিম চৌধুরী। এসময় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা-১ আসনে(দোহার-নবাবগঞ্জ) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবু আশফাক বলেন, ‘আপনারা ২০০৮ সালের পর আর কেউ ভোট দিতে পারেননি। এবার সুযোগ এসেছে দলকে বিজয়ী করার। সকল মতভেদ ও মান অভিযান ঝেড়ে আসুন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করি। ধানের শীষ জয়ী হলে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে। উন্নয়ন হবে, বাঁচবে বিএনপি ও জিয়াউর রহমানের আদর্শ। কোনো কারণে হাসিনার মতো স্বৈরাচার বা স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ক্ষমতায় গেলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমাদের ভূলে বা সামান্য স্বার্থের কারণে যেন কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশী- বিদেশী ষড়ন্ত্র চলছে নির্বাচন বানচাল করতে । জিয়া পরিবার বিগত প্রায় ২০ বছর ধরেই নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। সেই সাথে বিএনপি সকল নেতাকর্মীও হামলা মামলায় ছিল দিশেহারা। সবাইকে মিলে তরুণ প্রজম্মের ভোট আদায়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে কাজ করতে হবে।
আশফাক বলেন, বিগত দিনের ভূল ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি নেতাকর্মীকে সামনে আগাতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাতির নিচে অন্ধকার ঢাকার কাছে দোহার নবাবগঞ্জের বেকার সমস্যা সমাধানে এ অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ দিয়ে কলকারখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

সাবেক যুবদল নেতা মশিউর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, মো. কামাল দেওয়ান, আবু শফিক মাসুদ, ভিপি পলাশ, ওবায়দুর রহমান, তুষার আহমেদ, এম রহমান আকবর, আজহার উদ্দিন, মো. পিলু, দুর্জয় মাহমুদ সোহেল, শফিকুল ইসলাম, ইসতিয়াক আহমেদ, মুজাহিদ হোসেন, নারী নেত্রী ইয়াসমিন আক্তার, বিলকিস চৌধুরী প্রমুখ।