শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: গাজায় শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তৎপর হয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা শূন্যতা তৈরি হতে দেওয়া হবে না এবং তারা জননিরাপত্তা ও সম্পত্তির সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। খবর রয়টার্স।
গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হামাস গাজার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। হামাসের অভিযোগ, এসব ব্যক্তিরা তাদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং বিদেশি শক্তির সহযোগিতা করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যুদ্ধবিরতির পর হামাস ধীরে ধীরে তাদের প্রশাসন ও নিরাপত্তা কাঠামো পুনর্গঠন করছে। গাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি ও সহিংসতা দেখা দেওয়ায় জননিরাপত্তা বজায় রাখতে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাফাহ অঞ্চলে হামাসবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। হামাসের দাবি, এই ব্যক্তিরা ইসরাইলের হয়ে কাজ করছে এবং গাজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল।
হামাস সরকারের মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, আমরা গাজায় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণ যেন নিরাপদে থাকতে পারে সেই দায়িত্ব আমাদের।
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে হামাস তার অস্ত্র সেই রাষ্ট্রের হাতে সমর্পণ করতে প্রস্তুত। তবে গাজার শাসন কাঠামো নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের মধ্যেই নেওয়া হবে, কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো গাজায় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাতে ভবিষ্যতের যেকোনো চুক্তি বা রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় গাজার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।