শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নদী নির্ভর বাংলাদেশ হলেও ইছমতি নদীর বেহাল দশা দেখা অবাক হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকাবাসী ও সামাজিক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীতে জলকপাট নির্মানসহ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ইছামতির পশ্চিম প্রান্তে কাশিয়াখালীতে জলকপাটসহ খনন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী রুহুল আমিন।
বুধবার সন্ধ্যায় ইছামতির সোনাবাজু পয়েন্ট ও ধুলসুরার বোয়ালী পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রকৌশলী বলেন, সোনাবাজু এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মান হওয়ায় ইছামতি নদীর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এতে নদীর পানি চলালচল করতে পারে না। আমরা চাই এই নদীটি সচল হোক, এতে যেমন নদীর নাব্যতা ফিরে আসবে তেমনি এঅঞ্চলের জীবন জীবিকার মান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
সেই সাথে চালু হবে নদীপথ। পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এ কাজের প্রকল্প শুরু করা হবে বলে তিনি আশস্ত করেন। উপদেষ্টা মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ঢাকার নবাবগঞ্জ দোহার ও আড়িয়ল বিল এলাকার জলাবদ্ধাতা নিরসনের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রধান প্রকৌশলী সকালে আড়িয়াল বিল, কার্তিকপুর বাজার ও সর্বশেষ সোনাবাজু এলাকা পরিদর্শন করেন। রুহুল আমিন বলেন, ইছামতির এই প্রকল্পটি এশিয়ান ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক বাস্তবায়নের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচলক (পরিকল্পনা) মোতাহার হোসেন, ঢাকা পানি উন্নয়ন সার্কেল-১ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক, ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী ফাহাদ হাসান, সহকারি প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনের সময় সাথে ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি সোনাবাজু এলাকায় নদীর মুখে জলকপাট নির্মান। কিন্তু গত সরকার শুধু মুখে মুখেই বলেছে পরিকল্পনার নামে জনগনকে ধোকা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান যে সরকার আছে তাঁরা এই জলকপাট নির্মান ও নদী খননসহ পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। আগামীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তারা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মুখ দেখবে।
এসময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি খন্দকার মাসুদ, জয়কৃষ্ণপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, যুবদল নেতা আবুল হাসেম বেপারী, নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, সেভ দ্যা সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্ট্রোম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ইছামতি বাঁচাও আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।