সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক:: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে নবম আসরে ২৭ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ওঠার সুযোগ প্রোটিয়াদের সামনে। আর দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিউজিল্যান্ডের।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড। ২০০৬ সালে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।
চলতি আসরে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় প্রোটিয়ারা।
এই নিয়ে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালে প্রথম আসরেই সেমির স্বাদ নিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রোটিয়ারা। এর পর ২০০০, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৩ সালে শেষ চার থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তাই ২৭ বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলতে না পারার বন্ধ্যত্ব ঘোচাতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পর আর কখনও সেমিফাইনাল বাধা টপকাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এবার আমাদের সামনে ফাইনালে ওঠার সেরা সুযোগ। আমরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।’ নিউজিল্যান্ডকে সমীহ করে বাভুমা বলেন, ‘টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল নিউজিল্যান্ড। তাদের হারানো কঠিন। গ্রুপ পর্বে ভালো ক্রিকেট খেলেছে তারা। জয় পেতে হলে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে এবং মাঠে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দিতে হবে।’
৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে হারালেও শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হয় কিউইরা।
এই নিয়ে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে নিউজিল্যান্ড। ২০০০ সালে দ্বিতীয় আসরে প্রথমবার সেমিতে উঠেই শিরোপা জিতে নেয় কিউইরা। এর পর ২০০৬ সালে সেমিফাইনাল এবং ২০০৯ সালে ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হয় ব্ল্যাক-ক্যাপসরা।
১৬ বছর পর আবার ফাইনালে খেলার হাতছানি নিউজিল্যান্ডের সামনে। এবার ফাইনাল খেলার ব্যাপারে আশাবাদী কিউইরা। দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার টম লাথাম বলেন, ‘আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওঠার সেরা সুযোগ আমাদের সামনে। আমরা জানি এই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য কতটা কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমরা জানি দক্ষিণ আফ্রিকা কতটা শক্তিশালী দল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দারুণ পারফরর্ম করে তারা সেমিতে এসেছে। আমি নিশ্চিত, জমজমাট লড়াই হবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। সিরিজে লিগ পর্বে দেখা হয়েছিল দুই দলের। লাহোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ছুড়ে দেওয়া ৩০৫ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ওই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে কিউইরা।
সেই স্মৃতি স্মরণ করে লাথাম বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছি। ওই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা এবার সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে সহায়ক হবে। আমরা ওই ম্যাচ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারব।’ এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৭৩ বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড।