শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
মজিবুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরের সালথায় যুবদল নেতা হাসান আশরাফের লোকজন ও বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির মাতুবর গ্রুপের হামলা পাল্টা হামলায় ৫টি বাড়ী ও বসতঘর ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কিত্তা, বোয়ালিয়া ও বিভাগদী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার নকুলহাটি বাজারে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মারামারীর জেরধরে রবিবার সকালে কিত্তা গ্রামের যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বাড়িসহ ৫টি বাড়িতে হামলা করে উপজেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক নাছির মাতুব্বরের সমর্থকরা। এসময় হাসান আশরাফের একটি টিনের গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
এছাড়াও বোয়ালিয়া গ্রামের মাজেদ মোল্যা ও বিভাগদী গ্রামের শহীদ সরদারের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করে নাছির মাতুব্বরের সমর্থকরা। এহামলায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
যুবদল নেতা হাসান আশরাফ বলেন,শনিবার সন্ধ্যায় নকুলহাটি বাজারে মারামারির ঘটনার সময় আমি নেত্রী শামা ওবায়েদ এর সাথে বল্লভদি ছিলাম। আরো বলেন, আমার সমর্থকদের কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে নাসিরের লোকজন।
আজ রবিবার সকালে নাছির মাতুব্বর তার কয়েকশত লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। আমার একটি খড়ের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কয়েকটি এসি ভাঙচুর করে এবং তারা ফিরে যাওয়ার সময়, বোয়ালিয়া গ্রামের বিএনপি নেতা মাজেদ মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায়। এছাড়াও একাধিক জায়গায় হামলা ও ভাঙচুর লুটপাট করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাছির মাতুব্বর বলেন, আমার লোকজন গতকাল সন্ধ্যায় নকলহাটি বাজারে গেলে আশরাফের লোকজন তাদেরকে মারধর করে আমার তিন চারজন লোক আহত হয় এবং তারাও একজন আহত হয়।তিনি আরো বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার পাঁচজন নেতার সহযোগিতার কারণে ওই বাজারে আমার লোকজন গেলেই মান অপমান করে তারা।
সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান সাকিল বলেন, শনিবার থেকেই আমরা এই এলাকায় অবস্থান করছি। দুইপক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে শান্ত থাকার আহ্বান করেছি। তারপরও রবিবার সকালে নাছির মাতুব্বরের লোকজন কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে এবং অগ্নিসংযোগও করেছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।