সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
আবুল বাশার শেখ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:: ময়মনসিংহের ভালুকায় হবিরবাড়ী’র সিডস্টোর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার আশরাফুজ্জামানের ভুল চিকিৎসায় আয়ূশ বড়ুয়া আদর (৯) নামে এক শিশু’র মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আয়ুশ স্থানীয় আনোয়ার খান মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিল। নিহত আয়ুশ বড়–য়া চট্টগ্রামের পটিয়া থানার কেলিশহর, ছত্তর পেটুয়া গ্রামের পীযুষ বড়–য়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানায়, শনিবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে আয়ুশের পেট খারাপ ছিলো, দুপুরে অতিরিক্ত বমি হওয়ায় আয়ূশ বড়ুয়াকে নিয়ে সিডস্টোর-বাটাজোর রোডে লতিফ মেডিকেল হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার মোঃ আশরাফুজ্জামান (আশরাফ ডাক্তার) এর কাছে নিয়ে যায়, আয়ুশকে কোন পরিক্ষা-নিরিক্ষা না করেই প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক সহ একাধিক ইনজেকশন ও স্যালাইনে চিকিৎসা দেয়। পরে স্যালাইন চলা অবস্থায় আয়ুশকে ঝালবাজার রোডের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। পরে রাত আটটার দিকে আয়ুশ মারা যায়।
নিহতের বাবা বিজুশ বড়ুয়া জানান, আশরাফের কাছে নিয়ে গেলে ফুড পয়জন হয়েছে বলে চিকিৎসা দেন। স্যালাইন চলা অবস্থায় ছেলের মৃত্যু হয়। এ ধরনের ভূল চিকিৎসা অন্য কোন শিশুর বেলা যেন না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
আনোয়ার খান মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন খান জানান, আশরাফুজ্জামান উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার হয়ে কিভাবে নিজের নামের সাথে ডাক্তার লিখে সব ধরণের রোগী দেখে তা বিভাগীয় তদন্ত করে দেখা উচিত। তার খাম খেয়ালীপনার কারণে একটি মেধাবী প্রাণ ঝরে গেলো যা খুবই কষ্টদায়ক।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফ কোন এমবিবিএস ডাক্তার না তার পরেও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন এবং সকল রোগের চিকিৎসা দেন এবং প্রায় সময় এরকম ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ঘটে। স্থানীয় রাজিব হোসেন বলেন, আশরাফের ভূল চিকিৎসায় শুধু আয়ুশের মৃত্যু হয়নি, পূর্বেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কথিত আশরাফ ডাক্তারের কঠিন বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে লতিফ মেডিকেল হলে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার মোঃ আশরাফুজ্জামানকে পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প.প. কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, এ ধরণের প্রেসক্রিপশন লিখা বা চিকিৎসা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই, সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।