শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন
খুলনা ব্যুরো : বাবার মৃত্যুর ৭ দিন পর থানায় এসে তার কিশোরী মেয়ে বললেন, ‘বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেছি, আমাকে গ্রেপ্তার করুন ।’ এ ঘটনা ঘটেছে খুলনার দৌলতপুর থানায় গত শুক্রবার রাতে । রোববার সকালে বিষয়টি প্রকাশ পেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ।
নিহত শেখ হুমায়ুন কবির নগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা । থানায় আত্মসমর্পণ করা কিশোরী তার ছোট মেয়ে । চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছে তিনি । তাকে বর্তমানে কেএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে ।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর দেয়ানার বাসিন্দা শেখ হুমায়ুন কবীরের তিন মেয়ে । বড় মেয়ে বিবাহিত । স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দেয়ানার বাড়িতে থাকতেন তিনি । উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বিপুল সম্পদের আয় থেকে সংসার চলতো তার ।
গত ৫ জুলাই মারা যান দৌলতপুর এলাকার ব্যবসায়ী শেখ হুমায়ুন কবীর । আগের রাতে ভাত খেয়ে ঘুমাতে যান, ৫ জুলাই সকালে আর ঘুম ভাঙেনি । হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে এলাকার প্রচার করা হয় ।
হঠাৎ গত ১২ জুলাই রাতে দৌলতপুর থানায় হাজির হন তার ছোট মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির । পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে বাবাকে হত্যা করেছেন তিনি ।’
খুলনার দৌলতপুর থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সুমাইয়া মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ । তিন বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে । পরিবারের পক্ষ থেকে তারা কোনো অভিযোগ করবেন কিনা এখনও জানাননি । আমরা অপেক্ষায় আছি ।