সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: পিরির আঘাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও শাশুড়ীকে আটক করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর মিয়াহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস সালাম (৫০) দোহারের কাটাখালীর নিয়ামত সুকানীর ছেলে। সে নবাবগঞ্জ শশুর বাড়িতে থাকতো।
পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে সালামের স্ত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে জোসনার সাথে ছেলেকে স্কুলে নেয়ার বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাঁদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এসময় স্বামী সালাম তার স্ত্রীকে চুল ধরে মারতে গেলে স্ত্রী জোসনা আক্তার একটি কাঠের পিরি দিয়ে স্বামীকে মাথায় আঘাত করে। সালাম অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।
এসময় স্ত্রী জোসনা ও প্রতিবেশী মিনহাজ এবং রাতুল মুমুর্ষ সালামকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সালামকে মৃত ঘোষনা করে। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। হাসপাতাল থেকে এসময় হত্যায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে জোসনা(৩২) ও শাশুড়ী রওশনারা বেগম(৬০)কে আটক করে পুলিশ।
গালিমপুর তদন্ত কেন্দ্রের এস আই ফয়সাল হাসান বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় তাঁর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত সালামের বোন জামাতা নৈমদ্দিন মৃধা অভিযোগ করেন, তার শ্যালককে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান।
স্বজনরা জানায়, আব্দুস সালাম বিয়ের পর হতেই শশুর বাড়ি থাকতো। করোনাকালীন সময়ে সৌদি আরব থেকে ফিরে আর যেতে পারেননি। এরপর থেকে সে অটোরিক্সা চালাতেন। তাদের সংসারে আরাফাত নামে ৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
থানায় আটক জোসনা বলেন, সে পিরি দিয়ে তার স্বামীকে আঘাত করেনি। তবে পিরি নিয়ে স্বামীকে আঘাত করতে উদ্যত হলে তার মা বাধা দেয়।
দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম জানান, প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।