শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনার প্রেমে মরিয়া ভারত। তাই পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পরেও ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুর ২টায় ঢাকার দোহার জয়পাড়া বিশ^বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ছাত্রদলের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, হাসিনা সরকার দেশকে শুধু লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেনি। মানুষ খুন গুম ও রাজনৈতিক দেউলিয়া বানিয়ে পালিয়ে ভারতে আস্তানা করেছে। ভারতের স্বার্থে হাসিনা ও তাঁর সরকার সব কিছুই দিয়েছে তাই সে লোভ ভারত ভুলতে পারে না। তা না হলে এমন একজন খুনি মহিলাকে ভারত কি করে আশ্রয় দেয়?
বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, যখন বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে চিঠি দেয় সেই সেময় তারা এই খুনির ভিসার মেয়াদ বাড়ায়। এতেই বুঝা যায় গত ১৫ বছরে ভারতকে কতটা স্বার্থ দিয়েছে শেখ হাসিনা। যার নির্দেশে ছাত্র, শ্রমিক, বৃদ্ধ ও শিশুকে গুলি করে নির্মমভাবে খুন করা হয় সেই খুনের রানিকে ভারত আগলে রাখে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পরিবার ও তাঁর স্বজনরা দেশের মানুষের টাকা পাচার করেছে। ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকী তার বড় প্রমাণ। সেও তার বোন যুক্তরাজ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফ্ল্যাট উপহার নেন। জুলাই আগষ্টে হত্যার সাথে জড়িত এমন একজন মহালুটের সর্দার হাসিনার কি বিচার এ দেশে হবে না। ভারত কয়দিন তাঁকে আশ্রয় দিবে। এসময় তিনি ইউনুস সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তানান্তর করা দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠ শিল্পী বেবী নাজনিন বলেন, খালেদা জিয়া একজন আপোষহীন নেত্রী। তার প্রমাণ একজন পালালেন দেশ ছেড়ে। আর উনি সসম্মানে কারাবন্দী থেকে জনতার পাশে রইলেন। তাই তিনি আজ জননন্দিত। তিনি দ্রুত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, বর্তমান সরকার একটি গোষ্টির মদদে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। আপনারা জনগণের সাথে তালবাহানা করলে শেখ হাসিনার মতো পরিণতি হবে। পালানোর পথ পাবেন না। তাই জনগনের ভালোবাসা থাকতে ক্ষমতা জনপ্রতিনিধির হাতে ন্যস্ত করুন।
কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ছাত্রদল লুটপাট ও হল দখলে বিশ্বাসী না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখাই তাঁদের কাজ। ছাত্রলীগের মতো দলবাজি ও ফাও খাওয়ার সংগঠন ছাত্রদল নয়।
জয়পাড়া কলেজ ছাত্র দলের সভাপতি সৌমিক ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ, জাসাস কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ বিএনপির নেতা খন্দকার আবুল কালাম, বিএনপির দোহার থানা সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ইয়ানুস আলী খান, যুবদল নেতা আবুল হাশেম বেপারী, ইসতিয়াক চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আযোজন করা হয়।