সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ থেকে:: গভীর রাত থেকেই নদীর পাড় জুড়ে ছিলো উৎসুক জনতার ভীড়। তাঁরা ইছামতি নদীতে ভেসে ওঠা মাছ ধরতে যান। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত ইছামতি নদীতে মৃত এ মাছ ভেসে উঠে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোর রাত পর্যন্ত এ মাছ ধরে নেয় অনেকে। অনেকের ধারণা নদী জুড়ে কচুরিপানার কারণে পানি দূষিত হয়ে অক্সিজেনের অভাবে এ মাছ মরে ভেসে উঠতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেল হতেই ইছামতি সামসাবাদ এলাকায় কিছু লোক ভীড় জমায় নদীর পাড়ে। এসময় তাঁদের উপস্থিতির কারণ জানতে অনেকেই দৌড়ে যায় সেখোনে। এরপর অনেক নারী-পুরুষই নদীতে ভেসে ওঠা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নেয়। কেউ হাত দিয়ে, গামছা দিয়ে বা পরনের কাপড়ে ভরেই এ মাছ সংগ্রহ করে। নদীর কয়েকটি স্থানে এমন পরিস্থিতি দেখার কথা বলেন অনেকে। উপজেলার কলাকোপা, কলেজঘাট, খানেপুর, গোল্লা, ধাপারীসহ প্রায় ৮/১০টি স্থানে মাছ মরে ভেসে উঠার খবর পাওয়া গেছে।
ইছামতি নদী জুড়ে ভাসছে মরা মাছ
মো. ফয়সাল বলেন, রাতে নদীর পাড় জুড়েই লাইটের আলো দেখা গেছে। পরে জানলাম নদীর পানিতে ভেসে ওঠা মাছ ধরতে মানুষ ভীড় করেছে।
সমসাবাদের বাসিন্দা মুন্না মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতে লোকজনের সরগোল শুনে নদীর পারে গেলে পানিতে ভেসে উঠা মরা মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায়। এ অবস্থা ভোর রাত পর্যস্ত থাকে। তবে সকালে কাউকে দেখা যায়নি। কারণ জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে কোনো মাছ নেই।
নবাবগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কারিশমা আহমেদ বলেন, দুটি কারণে এটা হতে পারে। প্রথমত পানিতে প্রচুর কচুরিপানার কারণে অক্সিজেন লেবেল কমে যেতে পারে। এছাড়া পানি অতিরিক্ত মাত্রায় দূষণ হলেও মাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দ্রæত বিষয়টি আমরা জানার চেষ্টা করছি যাতে এ অবস্থার প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া নাশকতার বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।