সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত ইছামতি নদীকে সচল করতে কচুরিপানাকে অপসারণ করে তীর জুড়ে সবজি চাষের আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকার নবাবগঞ্জের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শনিবার(৫ এপ্রিল) দুপুরে নবাবগঞ্জের খানেপুর এলাকায় ইছামতি নদীর ১০টি পয়েন্টে কচুরিপানা অপসারণ ও সবজি চাষ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। সেভ দ্য সোসাইটি এবং নৌকাবাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা বলেন, মৃত প্রায় ইছামতি নদীকে বাঁচাতে সোনাবাজু-কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ ও কার্তিকপুরে নদীর মূল অংশে প্রয়োজনীয় সুইচগেট স্থাপন ও কচুরিপানা অপসারণের ব্যবস্থা না করলে নদীটির পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তারা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুটির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সকলকে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়াাখালী বেড়িবাঁধ থেকে বান্দুরা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এবং দোহার উপজেলার কার্তিকপুর হতে ইমামনগর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার নদীপথকে পরিস্কার করতে হবে। যাতে সারা বছর নৌ চলাচল করতে পারে। তারা ১০টি স্থানকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে। সেগুলো হচ্ছে তুইতাল, দাউদপুর, বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর কার্তিকপুর, বান্দুরা, দেওতলা গোল্লা, খানেপুর, ধাপারী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নবাবগঞ্জে গ্র্যাজুয়েটস এসাসিয়েশনের সভাপতি সাবেক জেষ্ঠ্য জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হোসেন খন্দকার বলেন, মা-বাবা যেমন আমাদেরকে আদর সোহাগ করে বড় করেছেন। নদীও ঠিক তেমনি আমাদেরকে প্রাকৃতিক পরিসেবা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। সেই জন্য নদীকে সচল রাখা আমাদের দায়িত্ব। ইছামতি নদী দোহার নবাবগঞ্জের প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ। এ নদীকে দুষণমুক্ত করে তীর জুড়ে সবজির চাষ করার যে পরিকল্পনা করেছে এলাকাবাসী সেটাই ভালো উদ্যোগ। সকলের ইতিবাচক প্রচেষ্টায় এটা বাস্তবায়ন হলে তা হবে মাইলফলক। নদী ও প্রকৃতিপ্রেমী সকলকে তিনি এ কাজে সামিল হওয়ার আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বারুয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মোহাম্মদ আলম, নৌকা বাইচ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, দৈনিক আগামীর সময়ের সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হরগোবিন্দ সরকার অনুপ, সাংবাদিক আজহারুল হক, খালিদ হোসেন সুমন, সমাজসেবক শাহজাহান মোল্লা, ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।