শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন

৫ বছরের এতিম শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নবাবগঞ্জ থেকে:: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে ৫ বছরের এক এতিম শিশুকে পাশের কক্ষে ডেকে নিয়ে বিস্কুট কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখায় মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইয়াছিন (২৩)। এসময় শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। শিশুটির সৎমা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠানো হয় শিশুটিকে।

পুলিশ ও ভিকটিম পরিবার জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে শিশুটির মা মারা যায়। পরে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে। সেই মায়ের কাছেই বড় হয় শিশুটি। সে স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসায় নার্সারী শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৩ আগস্ট বিকেলে প্রাইভেট পড়ার জন্য ওই শিক্ষকের কাছে গেলে শিশুটিকে ডেকে পাশের কক্ষে নিয়ে তাঁকে কোলে তুলে নেয়। এরপর বিস্কুট খাইয়ে পৈশাচিক কায়দায় ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারলে কান্না করে। পরে সে বাড়ি চলে যায়। তাঁকে কান্নারত অবস্থায় দেখে সৎমা গিয়ে বলে হুজুর তাঁকে মারছে। কোথায় মারছে জানতে চাইলে ওই শিশু সব খুলে বলে। পরে ওই শিশুর বিশেষ অঙ্গে যন্ত্রনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।

ঘটনার তিনদিন পরে শিশুটির পরিবার স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাথে আলোচনা করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় ওই এলাকা থেকে মাদ্রাসা কিন্ডার গার্ডেনের সেই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়। শিশুটির মা বলেন, ও আমারই সন্তান। আমিই লালন পালন করে বড় করছি। এ ধরনের শিক্ষক নামের অমানুষদের কঠোর শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।

ওসি বলেন, বেশ চঞ্চল শিশুটিকে দেখে মায়া লাগে। এ ধরনের পৈশাচিক কাজের সাথে যারা জড়িত তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com