রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:: ২০২৩ সালে জ্বালানিসহ অনেক পণ্যের দাম কমবে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বে জ্বালানির দাম ১১ শতাংশ হ্রাস পাবে।
২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গমের দাম ২০ শতাংশ কমেছে উল্লেখ করে বুধবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থাটির সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেট আউটলুকে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের পর বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়েছে। এটা বিদ্যমান খাদ্য ও জ্বালানি সংকটকে আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে।
আসন্ন বিশ্বমন্দার উদ্বেগের মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বেশিরভাগ পণ্যের দাম সম্প্রতি চূড়ায় ওঠার পর বর্তমানে হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে গত মাসের শেষ পর্যন্ত মার্কিন ডলারে অশোধিত তেলের দাম প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। তবুও মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে প্রায় ৬০ শতাংশ তেল-আমদানিকারী উন্নয়নশীল দেশে অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ দেশে মার্কিন ডলারের দাম বৃদ্ধির তুলনায় স্থানীয় মুদ্রায় গমের দাম অনেক বেড়েছে।
কৃষি উৎপাদনের অন্যতম উপকরণ জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে খাদ্যের দাম বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্যপণ্যের মূল্যম্ফীতি গড়ে ২০ শতাংশের বেশি ছিল। লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্যে মূল্যম্ফীতি ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে।
অনেক পণ্যের দাম চূড়ায় ওঠার পর কমলেও তা গত পাঁচ বছরের গড় মূল্যের তুলনা অনেক বেশি- বলছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলো সাভেদ্রা। তিনি বলেছেন, বিশ্বে খাদ্যমূল্যের আরও বৃদ্ধি উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চ্যালেঞ্জকে দীর্ঘায়িত করতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ অস্থির জ্বালানির দাম। চলতি বছরে তা প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০২৩ সালে দাম ১১ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে দাম কমলেও আগামী বছর জ্বালানির দাম গত পাঁচ বছরের গড় থেকে ৭৫ শতাংশ বেশি হবে।
বিশ্বব্যাংক তার প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৩ সালে অপরিশোধিত তেলের দাম গড়ে প্রতি ব্যারেল ৯২ ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরের গড় দাম ছিল ৬০ ডলার। বিশ্বব্যাংক আশা করছে, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার দাম ২০২২ সালের রেকর্ড উচ্চ থেকে ২০২৩ সালে কমবে বলে।
আগামী বছর কৃষিপণ্যের দাম ৫ শতাংশ কমবে বলে আশা করছে বিশ্ব সংস্থাটি। ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গমের দাম প্রায় ২০ শতাংশ কমলেও এক বছর আগের তুলনায় তা ২৪ শতাংশ বেশি বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বে গমের ভালো ফলন, চালের বাজারে স্থিতিশীল সরবরাহ এবং ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি পুনরুদ্ধারের কারণে এটা ঘটবে। বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কার কারণে ২০২৩ সালে ধাতুর দাম ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে প্রতিবেদনে।