বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। একই মামলায় তার সাত দেহরক্ষীকে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া আট আসামির বিরুদ্ধে মোট ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়। নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশও দেন আদালত।
সেই রায়ে বিচারক পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছিলেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে জি কে শামীম হাইকোর্টে আপিল করলে বৃহস্পতিবার তা শুনানি শেষে তাকে খালাস দেন উচ্চ আদালত।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে দায়ের করা আরেক মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ নগদ টাকা, বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করা হয়।
পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর মামলার বিচার শুরু হয়।
অবশেষে হাইকোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে অর্থপাচার মামলায় মুক্তি পেলেন জি কে শামীম।