শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

সেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এমএন ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় আবারও অভিযোগ

আশরাফুল আবেদীন, ঈশ্বরদী প্রতিনিধি॥

আদালতের স্ট্যাটাসকো অমান্য করে ঈশ্বরদী থানার বাউন্ডারী সংলগ্ন আহম্মদ মঞ্জিলে একাধিকবার অসহায় পরিবারে হামলা, ভাংচুর, বিধবা ও বয়স্ক মহিলাদের মারপিট করা এবং প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে সাংবাদিক ও বিধবা মহিলাকে জানে মেরে ফেলার হুমকিদাতা সেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এমএন ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় আবারও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার রাতে নির্যাতিত বিধবা শাহিনা আক্তার এই অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগকারী শাহিনা আক্তার, ছেলে হৃদয় ও দেবর এএ আজাদ হান্নান সাংবাদিকদের জানান, এমএন ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ^রদী থানায় একাধিক অভিযোগ ও আদালতে মামলা রয়েছে। সে ২০১৩ সাল থেকে আহম্মদ মঞ্জিলে বসবাসকারী মৃত মুজিব নগর কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম,মৃত মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক পরিবার ও মৃত ব্যবসায়ী আজিজুল হক হেলালের অসহায় পরিবারের সদস্যদের উপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। গত প্রায় এক মাসের মধ্যেই দূধর্ষ এমএন ইসলাম স্ট্যাটাসকো অমান্য করে একাধিকবার অসহায় পরিবারে হামলা, মামলা, ভাংচুর, বিধবা ও বয়স্ক মহিলাদের মারপিট করা এবং প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে বিধবা মহিলাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। এমনকি সে গত সোমবার সকালে মৃত ব্যবসায়ী আজিজুল হক হেলালের বিধবা স্ত্রী শাহিনা আক্তার ও ৬৫ বছর বয়স্ক বোন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর এমএন ইসলামকে এরেষ্ট করার জন্য ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসির উদ্দীন অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন,ভাই ভাইয়ের মধ্যে ঘটনা, কাকে এরেষ্ট করবো, আদালতের স্ট্যাটাসকো থাকা অবস্থায় আমার কিছু করার নেই। এসব মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় নির্যাতিত ও বিধবা শাহিনা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে আহম্মদ মঞ্জিলের দ্বিতীয়তলায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয়তলাস্থ সংবাদ সম্মেলনের স্থানে যাওয়ার সময় এমএন ইসলাম চড়াও হয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেন।

এসময় তিনি ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু ও সিনিয়র সাংবাদিক এমএ কাদেরকে ধাক্কা দিয়ে পিস্তল উঁচিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে আপনারা না গেলে গুলি করে মেরে ফেলবো। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উপস্থিত সকল সাংবাদিক ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এমএন ইসলাম ও তার ছেলে প্রীতম আরও উগ্র হয়ে উঠলে বিষয়টি ঈশ্বরদী থানার ওসিকে ফোন করে বলা হলে ওসি সেখ নাসির উদ্দীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এমএন ইসলামের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বের হয়ে যেতে বলেন।

এতে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়। সভায় এনএম ইসলাম নামে কথিত অস্ত্রধারীর অস্ত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার ও গ্রেফতার এবং ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিনের অসৌজন্য আচরণের প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়েছে। দাবী মানা না হলে সাংবাদিকরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব অভিযোগের বিষয় জানার জন্য এমএন ইসলামকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তার দায়িত্বশীল সুত্র দাবি করেছেঅভিযোগ সঠিক না।

সূত্র শাহিনা পরিবার ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আনিত অভিযোগ সঠিকনা বলে দাবি করে ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসির উদ্দীন বলেন, মারপিটের ঘটনার পর উভয়পক্ষ থেকে পৃথক দুটি আভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com