রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইসলাম হোসেন, জেলা প্রতিনিধি-সিরাজগঞ্জ::
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকাবাসী নির্যাতিত মেয়ের পরিবারকে মামলা না করতে বিভিন্নভাবে চাপ-প্রয়োগ ও বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চন্দ্রগাঁতী সরকারপাড়া গ্রামে মৃত মেঘচাঁদ সরকারের ছেলে জান মাহমুদ (৫৫) প্রতিবেশী রফিকুলের মেয়ে, ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়েছে।
এঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর চাচি ঝুমুরি খাতুন (৩০) অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ মার্চ (সোমবার) সন্ধ্যায়, একা পেয়ে মেয়েটিকে মুখ চেপে বাড়ীর পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে আমি এগিয়ে আসলে ধর্ষক জান মাহমুদ পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম প্রধান বকুল হোসেন, আব্দুল মান্নান, ইউপি সদস্য হারুনার রশিদ গংরা মামলা না করতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
নির্যাতনের স্বীকার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীর ভাই শরিফুল ইসলাম একই অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পরেরদিন গত মঙ্গলবারে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করতে গেলে জান মাহমুদের পরিবারের লোকজন আমাদের মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কিছুই বলতে পারছিনা। আমরা প্রশাসনের কাছে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে ধর্ষক জান মাহমুদের ভাতিজা হাবিবুর রহমান (খোকন) প্রতিবেদককে জানান, আমরা মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলেছি, মিমাংসার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা মিমাংসা করব।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জান মাহমুদ (৫৫) এর বক্তব্য জানতে তার বাড়ীতে গেলে বাড়ির লোকজন সবাই কৌশলে পালিয়ে যায়, তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হারুনার রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, ধর্ষিতা মেয়েটি ৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে এসেছে। তিনি আরো জানান, ধর্ষনের চেষ্টা করার সময় লোকজন দেখে ধর্ষক জান মাহমুদ পালিয়ে যায়।
প্রতিবেদক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি নির্যাতিতের পরিবারকে কোন হুমকি দেইনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গ্রাম প্রথান বকুল হোসেন ও আব্দুল মান্নান প্রতিবেদককে জানান, আমরাও এ জঘন্য ঘটনার বিচার চাই। প্রতিবেদক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমরা নির্যাতিত পরিবারকে কোন হুমকি দেইনি। মুঠোফোনে শিশু নির্যাতনের বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কৌশিক আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মর্মে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব।