শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইসলাম হোসেন, জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ::
টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার অন্তর্গত একজন বাংলাদেশী নাগরিক চাকুরীর সুবাদে পাকিস্তানে প্রবাসী অবস্থায় একজন পাকিস্তানি নাগরিকের সাথে প্রায় ২০ বৎসর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পরবর্তীতে তাঁদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, গত প্রায় ০৫(পাঁচ) মাস পূর্বে উক্ত পাকিস্তানি মহিলা তাঁর অপ্রাপ্ত বয়স্কা কিশোরী কন্যাকে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরে তাঁর ভাসুরের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। এই বাড়ীতে অবস্থানকালে মহিলার অপর ভাসুর, মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আল-আমিন (২০) উক্ত মহিলার কিশোরী কন্যাকে ক্রমাগত উত্যাক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কু-প্রস্তাবে কোন সাড়া না পেয়ে গত ১৬ এপ্রিল ২০১৯ইং তারিখ আনুমানিক রাত ৯টা ৩০ মিনিটে কিশোরী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে গেলে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মোঃ আল-আমিন (২০) তার অন্যান্য সহযোগিদের সহায়তায় মোটরসাইকেল যোগে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ১৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ আনুমানিক সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে মোঃ আল-আমিন বিবাহের প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কিশোরীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরবর্তীতে অপহৃত কিশোরীকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানাধীন মহিষাকান্দি নামক স্থান হতে উদ্ধার করে।
এঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (২০০০)সালের সংশোধনী(২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ মামলা করেন, এঘটনার পরপরই পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১২ অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে তৎপর হয় এবং গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। সর্বশেষে অদ্য ২৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর একটি অভিযানিক দল কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর থানার অন্তর্গত পঞ্চনগর গ্রামে অবস্থিত একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার ১নং আসামী মোঃ আল-আমিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সিরাজগঞ্জ র্যাব ১২ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে।