শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
ফরিদপুর প্রতিনিধি:: ফরিদপুরের একটি বে-সরকারি হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার ছাড়াই আয়া ও নার্সের হাতে সিজার হওয়া এক নবজাতক শিশুর কপাল কেঁটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কপালে নয়টি সেলাই নিয়ে শিশুটি এখন গুরুত্বর অসুস্থ। এই ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক জাকারিয়া মোল্লা পলাশ ও আয়া চায়না বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় হাসপাতালটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
শনিবার (১৫ জানুয়ারী) সকালে শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী রূপা বেগম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার উজানচর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মন্ডল পাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী।
ভুক্তভোগীর ভাই আমির ফয়সাল জানান, শনিবার সকাল ৮টায় প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের বিপরীতে আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে তার বোনকে ভর্তি করি। গাইনী ডাক্তার আসার আগেই তার বোনকে আয়া ও নার্স মিলে সিজার করে বাচ্চা বের করে আনার পর দেখা যায় তার কপালে ৯টি সেলাই ও বাচ্চাটি গুরুত্ব অসুস্থ। বিষয়টি তারা লুকানোর চেষ্টা করলে আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিই। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাসপাতালের মালিক ও আয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন।