সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
অনলাইন প্রতিবেদক:: ছাগলকাণ্ডে আলোচিত রাজধানীর মোহাম্মপুরে অবস্থিত সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন বলেন, এই জমির মালিক আমি নই। আমি এই জায়গার একজন ভাড়াটিয়া। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায় আসে না। আমি অন্য জায়গায় চলে যাব।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি।
সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর কাউবয় খ্যাত ইমরান হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই। তার দাবি, সিটি করপোরেশন যে জায়গাটা খাল বলে দাবি করছে, সেটির মালিক তিনি নন। এই জায়গায় মালিক এই স্থাপনার দ্বিতীয় তলায় বসবাস করেন। তিনি তার জায়গায় স্থাপনা করেছেন, আমি নিচতলা তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি।
এদিকে, সিটি করপোরেশনের অভিযান শুরুর আগেই নিজেরাই বুধবার রাতে সেখান থেকে বেশ কিছু গরু সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনাও সরিয়ে নিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, অভিযানের সংবাদ পেয়ে রাত থেকেই গরু-ছাগল সরিয়ে নিয়েছে সাদিক এগ্রো। এছাড়া রাস্তার ওপরে তাদের প্যান্ডেল ছিল, অস্থায়ী স্থাপনা ছিল সেগুলোও তারা সরিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।