রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:: পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। দিনের তাপমাত্রা সামান্য পরিমান বৃদ্ধি পেলেও কমছে রাতের তাপমাত্রা। গেল চার দিন যাবত ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকণে ঠান্ডায় বিপর্যন্ত এ অঞ্চলের জনজীবণ। খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষের বেড়েছে ভোগান্তি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকালে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে পুবালি সূর্য। ছড়াচ্ছে সকালের মিষ্টি রোদ। এতে চা-শ্রমিক, পাথরশ্রমিক, ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। সকালেই অনেককে কাজে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে এখন সন্ধ্যা ও রাতেই বেশি ঠান্ডা লাগছে। ভোরে সূর্য উঠে যাওয়ায় রোদে কমতে থাকে শীতের মাত্রা। সকালের মিষ্টি রোদে আগের যে কনকনে শীতের অনুভূতিটা ছিল তা কমেছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে। এরপরে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সে হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ঠান্ডা লাগে।
এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা বর্তমানে ১০-এর ঘরে অবস্থান করছে। আজ সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ ছিল। বিশেষ করে হিমালয় নিকটবর্তী এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে।’