রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
আবুল হাশেম ফকির: রাজধানী বিভিন্ন রঙে রাঙানোর পাশাপাশি উপজেলাগুলো এখন রাঙাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন দেয়াল, সড়ক রঙে রঙিন করেছেন তারা৷
গত দুইদিনে দেখা গেলো তেমনিভাবে দোহার নবাবগঞ্জের শহীদ মিনার, দেয়াল বিভিন্ন চত্বর, স্থাপনা, চৌরাস্তায়, মানচিত্র, বিভিন্ন স্লোগান, পাখি এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিপাদ্যে ফুলের নকশা বা গ্রাফিতি নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। আছে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর ইতিহাস।
এতে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় রাজধানী সহ উপজেলার থানার দেওয়াল, স্থাপনায় ও বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন অশালীন স্লোগানে স্লোগানে ভরে গিয়েছিলো তাও ঢাকা পড়েছে শিক্ষার্থীদের শৈল্পিক চিত্রক্রমে। পাশাপাশি টানা পঞ্চম দিনের মতো দোহার-নবাবগঞ্জের সড়ক ও চৌরাস্তাগুলোতে ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা যানজট নিয়ন্ত্রণের কাজও করছেন৷
ছুটির দিনেও সকাল থেকে উপজেলার সড়কগুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শহীদ মিনার ও দেওয়াল এবং মোরে, মোরে নতুন পূরণ চৌরাস্তায় ছোট, ছোট দলবেঁধে শৈল্পিক কাজে মনোযোগী দেখা যায়। তার মধ্যে জয়পাড়ার মোড়, থানার মোড়, জয়পাড়া কলেজ মোড়, জয়পাড়া বাজার,করম আলীর মোড়,বাশতলা, পালামগঞ্জ, কার্তিকপুর, নবাবগঞ্জের শহীদ মিনার ও দেওয়াল,থানার দেওয়াল, দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ, চৌরঙ্গীর, বাঘমারাসহ বিভিন স্থানে ও দেওয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা গেছে।
এছাড়া এই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে শিক্ষার্থীরা এবার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনায় যে স্লোগান লিখেছেন তা মুছে দিচ্ছেন। নিজেদের দায়ীত্ববোধ থেকে এবং উপজেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই রং-তুলি জোগার করে এসব শিল্পকর্ম করেছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী তোফা, তোরি, সাজিন, সাজোয়া, রেজিন, ইসরাত, ফাতেমা, তামান্না বলেন, আমরা নিজেদের সম্পদ ও উপজেলার শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় বিভিন্ন গ্রাফিতি আঁকছি।