বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ‘শরীয়তপুরে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চাষা-ভুষা লোকজনই বেশি অংশগ্রহণ করেছে। ধনীর দুলালরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নাই। মাঠ পর্যায়ে যুদ্ধ করেছে এমন যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ রেকর্ড করে এখনই ওরাল হিস্ট্রি রচনা করতে হবে। নয়তো সময় পার হয়ে গেলে একে একে সবাই না ফেরার দেশে চলে যাবে। আজ শনিবার সকালে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদীর গামা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ জহিরুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক অধ্যাপক এমএ আজিজ মিয়া, মুক্তিযুদ্ধকালীন শরীয়তপুর এলাকার এরিয়া কমান্ডার মো. দিদারুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধকালীন গোসাইর হাট থানা কমান্ডার ইকবাল আহ্মেদ বাচ্চু ছৈয়াল, ভেদরগঞ্জ থানা কমান্ডার আব্দুল মান্নান রাঢ়ী ও জাজিরা থানা কমান্ডার আব্দুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার (অবঃ) আব্দুর রশিদ খান, ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি অসীম কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. দুলাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শাহেদ খান এবং শরীয়তপুর সমিতির প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এফ রহমান রূপক। ইসমত কাদির গামা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই অনেকের পক্ষে উচ্চপদে চাকরি করার সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না মতিঝিল অফিস পাড়া ছিল বিহারীদের দখলে। সেখানে বাঙালিরা পিয়নের কাজ করতো। আলোচকগণ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক আঞ্চলিক ইতিহাস রচনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় নীতি আদর্শের চেয়ে অর্থবিত্তের প্রাধান্যে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সমাজে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আজ কেউ ডাকে না। তারা মার্চ মাসে এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও নেপালে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক ও বৈশাখী টিভির স্টাফ রিপোর্টার আহমেদ ফয়সালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।