বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
মো: নাসির খান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের কাঁচিকাটায় ১৫১ নং উত্তর মাথা ভাঙ্গা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়ছে শতাধিক স্থানীয় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার বিকল্প কোন জায়গা না থাকায় শিক্ষকরাও বিব্রতকর অবস্থায় আছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, স্কুলটি গেলো ৮ বছর আগে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে এলজিইডি। নির্মানের ৮ বছরের মাথায় পদ্মায় ভাঙ্গনের মুখে বিলিন হয়ে হয়ে গেছে ১৫১ নং উত্তর মাথা ভাঙ্গা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামক স্কুল ভবনটি। এ ছাড়াও গত সাত দিনের পদ্মার আগ্রাসী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের চরবার্নিয়াল, শীবস্যাম, উত্তর মাথাভাঙ্গসহ ৪টি গ্রাম।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ভাঙ্গনে ১৫১ নং উত্তর মাথাভাঙ্গা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলিন হয়ে পড়েছে।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ইমরান বলেন, আর ২ মাস পরে আমাগো পরীক্ষা এখন স্কুলডা ভাইংগা নদীতে নিয়ে গেছে। আমরা কই যামু? আমাগো পড়ালেখার কি হইবো?
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা বন্ধ করে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়টি থেকে নদীর দূরত্ব প্রায় দেড়শ ফুটের উপরে ছিলো। আজ এসে দেখি স্কুলটির ৪ ভাগের ৩ ভাগ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।আমরা বিদ্যালয়টি পুনরায় কোথায় স্থাপন করবো তা বলতে পারছিনা। আমাদের সমস্যার কথা আমরা উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।আমাদের বিদ্যালয়ের মোট ৮৭ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে বিদ্যালয়ে এসেছে ২৯ জন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার আল মুজাহিদ দিপু বলেন, ২০১৬ সালে বিদ্যালয় বিহিন গ্রামে পিইডিপি-৪ এর আওতায় ১৫শ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের ১ তলা ভবন নির্মাণ হয়। যা এখন ৮ বছরের মাথায় নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেলো। বিদ্যালয় ভবনটি বিলিন হওয়ায় আমরা শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুস ছোবাহান মুন্সী বলেন, বিদ্যালয়টি আজ হয়ত পুরোটাই নদীগর্ভে চলে গেছে। আমরা বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। নদী বিদ্যালয় ভবনের কাছাকাছি চলে এসেছে।