বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ব্যস্ততম নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক শেষ হয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে। সেখান থেকেই রাস্তার দুই পাশে কৃষ্ণচূড়ার লালে ছেয়ে গেছে প্রকৃতি।
গোয়ালন্দে চোখ ধাঁধানো টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রৈদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম পুষ্পরাজি; সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় অবসন্ন পথিকের মনে। তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথচারীরা পুলকিত নয়নে, অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করে এই সৌন্দর্য।
সরেজমিনে গোয়ালন্দ উপজেলার স্টেশন রোড, তোরাই মোড়, বাজার রোড, দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কৃষ্ণচূড়া তার লাল আবীর নিয়ে পাকা সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া তার সমস্ত রঙ প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে। ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে এটি জন্মে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণচূড়া শুধুমাত্র দক্ষিণ ফ্লোরিডা, দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডা, টেক্সাসের রিও গ্রান্ড উপত্যকায় পাওয়া যায়।
কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতি জনপ্রিয় ও পরিচিত ফুল। গোয়ালন্দ উপজেলার রেলস্টেশন, গরু হাট, বাসস্ট্যান্ড, দৌলতদিয়ার বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টেসহ প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় এখন লাল হয়ে ফুটে আছে ফুল।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আরিফ শেখ বলেন, প্রতি বছরই দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের দৌলতদিয়া ৪, ৫ ও ৬ নং ফেরিঘাটে যাওয়ার বিকল্প এই সড়কটি কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়া ফুলের শোভা দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ভিড় করছে সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষ। অনেক দর্শনার্থী আবার মুগ্ধ হয়ে সৃষ্টি করছেন কবিতা।