বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ন

রাতে নিখোঁজ, সকালে দোকানের পিছনে লাশ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন হোমিও চিকিৎসক ডাঃ বিজয় চন্দ্র বর্ম্মন ঠান্ডা। পরের দিন সকালে বাজারের একটি দোকানের পিছনে পাওয়া যায় তার লাশ।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ বাজারের একটি দোকানের পিছন থেকে হোমিও চিকিৎসক ডাঃ বিজয় চন্দ্র বর্ম্মন ঠান্ডার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ডাঃ বিজয় চন্দ্র বর্ম্মন ঠান্ডা খুনিয়াগাছ মাষ্টারপাড়া এলাকার মৃত হেমন্ত চন্দ্র বর্ম্মনের ছেলে। তিনি একজন হোমিও চিকিৎসক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ডাঃ বিজয় চন্দ্র বর্ম্মন ঠান্ডা খুনিয়াগাছ বাজারে তার নিজস্ব দোকানে প্রতিদিন রাত ১২টা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। প্রতিদিনের মতো গতকালও তিনি রাত ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন। রাত অনেক হয়ে গেলে তিনি বাড়িতে না যাওয়ায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। অনেক খোঁজাখুজির করেও তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরদিন সকালে খুনিয়াগাছ বাজারের ওয়ার্কসপ দোকানের মালিক সাজু তার দোকান খুলতে আসে। দোকান খোলার পর বাজারের একটি দোকানের পিছনে প্রসাব করার জন্য গেলে সেখানে ওই হোমিও চিকিৎসকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে তিনি বাজারের অন্যান্য দোকানদারদের বিষয়টি জানালে তারা থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে দুপুরের দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।

হোমিও চিকিৎসক ডাঃ বিজয় চন্দ্র বর্ম্মন ঠান্ডার স্ত্রী জানান, তার স্বামী প্রতিদিন রাত ১টা দুইটার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়ি আসে। কাল অনেক রাত হয়ে গেলে তিনি বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চিন্তায় থাকি। পরে আজ সকালে তার মৃত্যুর কথা জানতে পারি। তিনি দীর্ঘদিন থেকে হার্ডের সমস্যায় ভুকছিল। তার স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবারের কোন অভিযোগ নাই।

এ ব্যাপারে খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, হোমিও চিকিৎসক ডাঃ বিজয় চন্দ্র বর্ম্মন ঠান্ডা হার্ডের রোগী ছিলেন। হয়তো হার্ড এটাক্ট করে তার মৃত্যু হতে পারে।

খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খায়রুজ্জামান মন্ডল বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হোমিও চিকিৎসক ডাঃ বিজয় চন্দ্র বর্ম্মন ঠান্ডার মৃত্যুর ব্যাপারে তার পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় থানা পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যুর বিষয়টি জানার পরপরই ‘ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। স্টোক করেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহটি তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com