শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
মোঃ বিপ্লব, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) থেকে:: রাণীশংকৈল পুরাতন জেলখানাটি অযন্ত আর অবহেলায় এখন যেন ভূতুরে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে চলে বখাটে নেশাখোর ছেলেদের আড্ডা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অনেকেই এখন জেলখানাটি ভুতের বাড়ি নামেই চেনে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এইচ এম এরশাদ বিগত ৩০ বছর আগে রাণীশংকৈল উপজেলায় ২০০শত জন কয়েদির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মিনি সাব-জেলখানা নির্মিত করেন। এরশাদের আমলে এ জেলখানাটি ব্যবহৃত হলেও পরবর্তী বিএনপি সরকারের আমলে জেলখানাটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকাবাসী আভিযোগ করে জানান, সন্ধ্যার পরে বখাটে নেশাখোর ছেলেদের আড্ডা বসে জেলখানার সামনে। সন্ধ্যার পরে জেলখানার আশেপাশে কেউ যায়না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন এবং জেলখানাটি পুনরায় সংস্করণ করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে গেলে তহশিলদার জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলখানাটি ২ একর জমির উপর রয়েছে, এটি দীর্ঘদিনেও কোন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। এটি তদারকি করে সরকারী কাজে ব্যবহৃত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক বলেন, এই জেলখানার জমিটি ফেলে না রেখে সংস্কার করে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান, জেলখানার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। জেলখানা ছাড়াও রাণীশংকৈলের সবগুলো ঐতিহ্য নিয়েই কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।