বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

রাণীশংকৈলে ৫০ শয্যা হাসপাতালের বেহাল দশা

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৫০ শয্যা হাসপাতালের বেহাল দশা। ২ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। স্থানীয় সাংসদ নির্বাচনের পর থেকে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সভা করেননি। ফলে এ উপজেলার মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সাবেক সাংসদ অধ্যাপক ইয়াশিন আলী ২০১৬ সালে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করার পর বিএনপি’র সাংসদ জাহিদুর রহমান সভাপতি হওয়ায় এ পযর্ন্ত কোন সভা আহবান করেননি। ফলে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো দেখাশুনা করছেন না কেউ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা অফিস করছেন বে-সরকারি আল মদিনা ক্লিনিকে। তাছাড়া অফিস ফাঁকি দেওয়ার কৌশল তিনি ঠিক করে রেখেছেন আগে খেকেই। স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ ৩০৭ নংস্মারকে ১৯ এপ্রিল আরএমও কে অফিস আদেশ ধরিয়ে দিয়ে রেখেছেন প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য আমার অনূপস্থিতে (প্রশিক্ষণের ছুটিতে অথবা প্রশামনিক কারণে অন্যত্র ব্যস্থ- অনূপস্থিত থাকার কারণে) যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম।

আজ বুধবার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে ক্লিনিকের সিএইচসিপি অথবা এফডাব্লুএ অনূপস্থিত রয়েছে। করনাইট কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকার প্রসঙ্গে স্থানীয় নুর ইসলাম বলেন সম্ভব্যত আপা মাতৃত্ব কালিন ছুটিতে রয়েছেন আর অন্যান্যরা ক্লিনিকে আসেননি। সন্ধারই ক্লিনিকে সিএইচসিপিও ফাতেমা বেগম ও স্বাস্থ্য সহকারি অনূপস্থিত রয়েছে। হাসপাতালে ১৪ জন ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও ইনডোরে কেউ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না তারা ১দিন করে জরুরী বিভাগ দেখাশুনা করছেন। ইনডোরে আরএমও চিকৎসা দিচ্ছেন বলে ভর্তি থাকা রোগীরা জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে, ক্লিনিক পরিদর্শনকারী ডাঃ মোর্শেদ বলেন, কিছু ক্লিনিকের ব্যপারে আমাদেরও নজর দারী আছে তবে বন্ধ ক্লিনিক গুলোর কর্মকর্তারা টিএইচ স্যারের কাছে ছুটি নিয়েছে কিনা না আমার জানা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ ক্লিনিক গুলো অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন কিছু ক্লিনিকের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে, কাউকে আবার শোকচ করা হয়েছে। পঃপঃ কর্মকর্তার অনূপস্থিতে এককালিন অফিস আদেশ আরএমও কে দেওয়ার বিধান আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন নিয়ম আছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, সংসদ নির্বাচনের পর এমপি মহোদয় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সভা না করায় এ অনিয়ম গুলি বেশি হচ্ছে। তাছাড়া আমার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবার মান ফিরিয়ে আনার চেষ্ঠা করা হবে।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাফুজুর রহমান বলেন, এক কালিন টিএইচএ -আরএমও কে এ রকম কোন অফিস আদেশ দিতে পারেন না। শুধু মাত্র যে দিন ছুটিতে থাকবেন সে সময় দিতে পারবেন। আর কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যপারে আমিও খোঁজ খবর নেব। ৪ বছর ধরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়নি এটা আমার জানা নেই।

এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হাসপাতালের কোন সভা করা হয়নি, তাছাড়া করোনা ভাইরাসের নামে টিএইচএ ১৩ লক্ষ টাকা ঘাপলা করেছে। সরকারী ভাবে তাকে একটা গাড়ী দেওয়া হয়েছে ক্লিনিক গুলো পরিদর্শনের জন্য তাও তিনি করছেন না। অফিস ও তিনি ঠিকমত করছেন না তা আমি শুনেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com