বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের ৯ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মো: শাহজাহান এর পুত্র জন্মগত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি আশাদুল (৩৩)। পৌরশহরের মহলবাড়ি এলাকায় তার বাড়ি, ৩৩ বছরের এই ব্যক্তির দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি কার্ড জুটলেও কপালে জুটেনি প্রতিবন্ধি ভাতা। স্ত্রী আর ২ সন্তান নিয়ে এই প্রতিবন্ধির সংসার চলে ঝালমুড়ি বিক্রি করে। আর কত বছর পেরিয়ে গেলে পাবে প্রতিবন্ধি ভাতা এমন প্রশ্ন স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুটি টিনের ঘরে তাদের বসবাস। কথা হয় আশাদুলের সাথে। তিনি জানান, আমার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি কার্ডে জন্মসাল ৮ অক্টোবর ১৯৮৬। আর তার প্রতিবন্ধির কার্ড ইস্যু হয় ২৭ মে ২০১৬ সালে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর স্ত্রী জানান, তার স্বামী হাফ কিলোমিটারের মধ্যে ভ্যান গাড়িতে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। বাড়ি থেকে ভ্যান গাড়ি নিয়ে আইডিয়ার উপরে চলাচল করে এই ব্যবসা করে। এতে যা আয় হয় তাতে ছেলেদের পড়াশোনা হয় ও তাদের সংসার চলে। তার স্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধিদের অনেক সুবিধা দিলেও আমরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আশাদুলের মা বলেন, আমরা গরিব বলে টাকা দিতে পারছিনা। টাকা না দেওয়ার কারণে আমার ছেলের কপালে প্রতিবন্ধির ভাতা এখনোও জুটছেনা। ঝালমুড়ি বিক্রেতা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি আশাদুল জানান, প্রতিবন্ধি কার্ড নিয়ে অনেক নেতার কাছে, এমনকি সমাজ সেবা অফিসেও গেছি এবং কাগজপত্রও জমা করেছি কোনো কাজ হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশাদুল বলেন, স্থানীয় এক নেতার কাছে ভাতার কার্ড নিতে গেলে সে নেতা আমার কাছে ১৪ শত টাকা নেয়, এতে কাজ হয়নি পরবর্তীতে আবার সেই নেতার কাছে গেলে আরও ৩ হাজার টাকা দাবি করে এবং বলে এই ৩ হাজার টাকা দিলে তোমার কার্ড হবে না দিলে হবে না। রাণীশংকৈল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, কাগজপত্র নিয়ে আমার অফিসে নিয়ে আসতে বলেন। আমি ব্যবস্থা করে দিব।