বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

রংপুরকে বিদায় করে ফাইনালে মাশরাফির সিলেট

স্পোর্টস ডেস্ক:: বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

টস হেরে আগে ব্যাট করে সিলেট ৭ উইকেটে ১৮২ রান তোলে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর। ১৯ রানের দারুণ জয়ে ফাইনালে নাম লেখায় মাশরাফির সিলেট।

১৮২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর। দলীয় ৩ রানেই ইংলিশ ব্যাটসম্যান স্যাম বিলিংস এলবিডব্লিউ হন তানজিম হাসান সাকিবের বলে। আগের ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করা শামীম হোসেন পাটোয়ারী আজ সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় রুবেল হোসেনের বলে লিন্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৪ রানে।

সেখান থেকে নিকোলাস পুরান ও রনি তালুকদার দলকে টেনে তুলতে থাকেন লড়াইয়ের মঞ্চে। এই জুটিতে ৩৪ রান তোলার পর ফিরেন ঝড় তোলা পুরান। নতুন সাইনিং লুক উডের বলে লিন্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে পুরান ফেরেন ১৪ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩০ রান করে।

সেখান থেকে রনি ও নুরুল হাসান সোহান দলকে জয়ের বন্দরের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল তাদের ব্যাটে ভর করে সহজ জয় তুলে নিবে রংপুর। ৫২ বলে তাদের দুজনের তোলা ৮২ রান তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল।

কিন্তু ১৫০ রানের মাথায় নুরুল ও ১৫১ রানের মাথায় রনি তালুকদার আউট হলে জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হতে থাকে। নুরুল ৪ চারে ২৪ বলে ৩৩ রান করে তানজিম সাকিবের বলে ও রনি ৫২ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রান করে রান আউট হন।

এরপর সময় যতো গড়িয়েছে জয়ের বন্দর থেকে ততোই দূরে সরে গেছে রংপুর। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানেই থামতে হয় তাদের। আর ১৯ রানের দারুণ জয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হার মানা সিলেট জায়গা করে নেয় ফাইনালে।

বৃহস্পতিবার তিনবার শিরোপা জেতা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে চারবার শিরোপা জেতা অভিজ্ঞ অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃত্বাধীন সিলেট।

বল হাতে সিলেটের লুক উড ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব ও রুবেল হোসেন। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন সিলেটের তানজিম হাসান সাকিব।

তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের শুরুটা ভালোই করেন তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮.৫ ওভারে ৬৫ রান তোলেন তারা দুজন। এই রানে মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হন শান্ত। ৩০ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪০ রান। তাতে বিপিএলের এবারের আসরে তার ব্যক্তিগত রান গিয়ে দাঁড়ায় ৪৫২ তে।

শান্ত আউট হওয়ার পর দ্রুতই ফিরেন তৌহিদ হৃদয়ও। দলীয় ৭৭ রানের মাথায় হাসান মাহমুদের বলে ব্রাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করে যান তিনি। তাতে তার মোট রান গিয়ে দাঁড়ায় ৪০৩ এ।

সেখান থেকে মাশরাফি বিন মোর্তজা ও জাকির হাসান দলীয় সংগ্রহকে শতরান পার করান। ১০১ রানের মাথায় দাসুন শানাকার বলে স্যাম বিলিংসের হাতে ক্যাচ দিয়ে জাকির ফিরেন ১৩ বলে ১ চারে ১৬ রান করে। এরপর রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে মাশরাফি বেশ দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। ১৩২ রানের মাথায় বার্লও শানাকার বলে বিলিংসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যান তিনি।

এরপর মাশরাফিও আউট হন ১৩৪ রানের মাথায়। ডোয়াইন ব্রাভোর বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে যান তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও দ্রুতই ফেরেন হাসান মাহমুদের বলে। ১৪২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রানে তার ক্যাচটিও নেন স্যাম বিলিংস।

এরপর সিলেটের রান দ্রুত বাড়ান থিসারা পেরেরা ও জর্জ লিন্ডে। ২১ বলে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৩৬ রান। ১৭৮ রানের মাথায় থিসারা রান আউটে কাটা পড়েন ১৫ বলে ২১ রান করেন। তবে শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শেষ ওভারে মোট ১৭ রান নিয়ে সিলেটের সংগ্রহ ১৮২ রানে নিয়ে যান লিন্ডে। তিনি মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২১ রানে।

বল হাতে রংপুরের হাসান মাহমুদ ও দাসুন শানাকা ২টি করে উইকেট নেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com