বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
কুমিল্লা প্রতিনিধি:: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১২ মে) দুপুর ১ টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী, মমতা আমির হোসেন।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। তৎকালীন সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলা করার পর চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত আটটায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপরে চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বলেন, মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন ও মামলা থেকে পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুইজন খালাসপ্রাপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক আছেন।