বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আলু। ইতোমধ্যে কৃষকরা আলু উত্তোলন শুরু করেছেন। তবে গত বছরের ন্যায় এবার ফলন তেমন ভালো হয়নি। কৃষকরা বলছেন, যদি বাজার মূল্য ঠিক থাকে তাহলে হয়তো লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ী ও সিরাজদিখান উপজেলায় আলুর আবাদ বেশি হয়ে থাকে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ শ্রমিক আসেন আলু রোপণ ও উত্তোলনের জন্য। বিশেষ করে রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, জামালপুর- এই জেলাগুলো থেকেই শ্রমিকরা বেশি আসেন।
আলু রোপণ ও উত্তোলনের সময় উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১৫-২০ হাজার শ্রমিক আসেন।
জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বেশ কয়েকটি জমিতে মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রতিটি জমিতে ১৫-২০ জন নারী-পুরুষ নারী শ্রমিককে আলু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। তবে পুরোদমে আলু উত্তোলন শুরু হবে মার্চের ১০-১৫ তারিখে, আর চলবে মাসের শেষ পর্যন্ত।
সিরাজদিখান উপজেলার কৃষক আহমেদ উদ্দিন জানান, গত বছরের মতো এবার আলুর ফলন ভালো হয়নি। এ বছর আলু তেমনভাবে বেড়েও ওঠতে পারেনি। এজন্য ছোট আলুর সংখ্যা বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের খুব একটা ভালো ফলন হয়নি তবে, যদি বাজার মূল্য ঠিক থাকে তাহলে হয়তো লোকসান কাটিয়ে ওঠতে পারবো।
তিনি আরও জানান, বর্তমান বাজারে জমি থেকে আলুর দাম ১০ টাকা কেজি দরে চলছে। তবে আশা করছি, দাম আরও বাড়বে। আর যদি না বাড়ে, তাহলে আমার মত যারা ঋণ করে খেতি করেছেন তারা লোকসানে পথে বসে যাবে। ধারদেনা করে, কিস্তি তুলে আলু রোপণ করেছি একটু লাভের আশায়। এখন যদি আলুর বাজার মূল্য না বেড়ে কমে যায়, তাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকবে না।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কল্যাণ কুমার সরকার বলেন, মুন্সীগঞ্জে ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার মধ্যে ১৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে।