শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন

মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিনকীআস্তানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পিকআপচালক মাদারীপুরের শিবচর থানার ভদ্রাসন এলাকার আব্দুর রব বেপারির ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৩৮), পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি থানার বলদিয়া এলাকার মো. হাসান (৪২), বরিশালের বানারিপাড়া থানার বিশার কান্দি এলাকার মোহাম্মদ হায়দার আলীর ছেলে মো. সোহেল (৩৮)।

আহত আরিফ ও মো. মিজানুর রহমান মিজানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিনকীআস্তানা এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়ানো পিকআপের পেছনে দ্রুতগামী এনা পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে চালকসহ পিকআপে থাকা লোকজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোরশেদ আলম ও মোহাম্মদ হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল নামে আরেকজন মারা যান।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় জামশেদ আলম জানান, ‘দুর্ঘটনায় হতাহত পাঁচজনকে ভোরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। অন্য তিনজনের শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় চমেকে রেফার করা হয়েছে।

নিহত সোহেলের আত্মীয় বরিশালের নাছির উদ্দিন সোহাগ জানান, নিহতরা সবাই জাহাজের শ্রমিক। তারা চট্টগ্রামের একটি জাহাজের ফাটাতন ঢাকায় মেরামত শেষে সেটি জাহাজে সংযোজন করার জন্য পুনরায় ঢাকা থেকে পিকআপে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। যাত্রা পথে শনিবার ভোর ৫টায় পিকআটটি মিরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা এলাকায় মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে চালক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যায়। এসময় পিকআপের পেছনে দ্রুতগামী একটি এনা বাস ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ভোরে মহাসড়কের চিনকীআস্তানা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপের পেছনে এনা পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে তিনজন মারা যান। দুজনের মরদেহ ও দুর্ঘটনা কবলিত বাস এবং পিকআপ থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। আরেকজনের মরদেহ এখনো চমেক হাসপাতালে আছে। এখনো নিহতেদের স্বজনরা থানায় এসে পৌঁছায়নি। তারা এলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com