মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনধি:: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার চর অঞ্চলের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ চিকিৎসা নেন একটি মাত্র কমিউনিটি ক্লিনিকে। আজ সেই কমিউনিটি ক্লিনিক নিজেই রোগী হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের চর বুদারু, ভেরভেরি, বড় বাসুরিয়া, ছোট বাসুরিয়া, কাইম বাসুরিয়া, পেটফিকার চর, সোনাতোলা, খেদাবাগ, ফকির পাড়া, বিদ্যাবাগিস এবং কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেকলী, কাশিয়াবাড়ির চর ও ধনীরাম এলাকার কয়েক হাজার মানুষের ভরসা ওই বড়বাসুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে বড়বাসুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের অবস্থা খুব জরাজীর্ণ। চর অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের ভরসা ক্লিনিকটি যেন নিজেই রুগী সেজে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সেখানকার কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সাইদুল রহমান বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় ক্লিনিকের ভিতরে ৫-৬ ফুট পানি উঠেছিল,তাছাড়া ও প্রতিবছর বন্যার পানি যেন ক্লিনিকটিকে ছাড়ছেই না,সে সময় থেকে বৃষ্টি হলেই ভিতরের সবকিছু ভিজে যায়। পাশের লেবার রুমের টিনের চালাটি দিয়ে আকাশ দেখা যায়।
বড়বাসুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) মিজানুর রহমান বলেন, এখানে যা ঔষধ সাপ্লাই দেওয়া হয় তা দিয়ে ক্লিনিক চালানো সম্ভব হয়না, পাশের উপজেলা রাজারহাট ছিনাইয়ের একতা বাজারের কমিউনিটি ক্লিনিকটি ধসে যাওয়ার ফলে অন্যের বাড়িতে সিসির সেবা চালু রাখার কারনে সবধরনের রোগী সেখানে যেতে পারেনা। ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এখানে চাপ অনেক গুন বেড়েছে। অবকাঠামো মেরামত ও ঔষধের পরিমান আরও বাড়ানো দরকার। স্থানীয় এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবি যাতে, উক্ত সিসিতে কিছু সংখ্যক সেচ্ছাসেবক ও আয়া নিয়োগ করে সেবা প্রদান করা হয় যাতে আমাদের দুর্ভোগ কমে যায়।
বড়বাসুড়িয়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (ভেন্ডার) বলেন, আমরা প্রায়ই দেখি রুম পরিস্কার করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ (সিএইচসিপি) নিজেই করেন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকটি নদীর পাশে নির্মিত হওয়ায় বার বার বন্যার কবলে পড়ে। যে কারনে ক্লিনিকের ভিতরে ও বাহিরের অংশ কিছুটা নাজুক হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত জেলার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোকে সংস্কার করে সম্মত ক্লিনিক হিসেবে তৈরী করবো। যাতে ওই অঞ্চলের সাধারন জনগণ সেখান থেকে প্রয়োজনীয় চিকৎসা সেবা পায়।