শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
মাদারীপুর প্রতিনিধি:: মাদারীপুরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে রহিমা খাতুন (৩২) নামের এক প্রসুতি মা মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তিনি মারাজান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রসূতির স্বজনরা জানান, রহিমা খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ১০ শয্য বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসবের জন্য নিয়ে আসেন স্বজনরা। এ সময় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎসক না থাকায় কল্যান কেন্দ্রের আয়া উম্মে রহিমা ও তার স্বামী নৈশ্যপ্রহরী আরিফুর রহমান উভয় মিলে একটি ছেলে সন্তান প্রসাব করান। সন্তান প্রসবের পরপর প্রসুতির রক্তক্ষরণ হতেই থাকে। এতে শরীরের অবনতি ঘটে তাঁর। এ সময় আয়া উম্মে রহিমা ও নৈশ্যপ্রহরী আরিফুর রহমান রাতেই রোগীকে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যায় রহিমা খাতুন। মৃত রহিমা খাতুন উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামের মো. জুয়েল ঘরামীর স্ত্রী।
ভূক্তভোগীর স্বামী মো. জুয়েল ঘরামী কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানে কোন ডাক্তার না থাকায় সেখানের পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান মিলে নরমাল ডেলিভারি করেন। আমরা এখানে নিয়মিত ডাক্তার চাই। ডাক্তার থাকলে আমার স্ত্রী মারা যেত না।
অভিযুক্ত পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান বলেন, এখানে ডাক্তার না থাকায় আমরা ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেছি। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগমকে ফোন দিলে তার নাম্বার বন্ধ পেয়েছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগম বলেন, আমার সপ্তাহে দুইদিন সেখানে ডিউটি রয়েছে। তাই আমি সেখানে উপস্থিত থাকিনি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ আকিব বলেন, পরিছন্ন কর্মী ও নৈশ্য প্রহরীর ডেলিভারি করার বিষয়টি জেনেছি। তবে গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।