বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন

মাদক মামলায় সিনহার সহযোগী সিফাতের জামিন

কক্সবাজার প্রতিনিধি::

কক্সবাজারে পুলিশের চেকপোস্টে গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার পর মাদক মামলায় গ্রেপ্তার তার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১০ আগষ্ট) বেলা ১১টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তার জামিন হয়।

সিফাতের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রামু থানায় করা মাদক মামলায় সিফাতকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে টেকনাফ থানায় সিফাতের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলায় জামিন শুনানি চলছে।

এর আগে, রোববার তাদের আরেক সহযোগী মাদক মামলায় গ্রেপ্তার শিপ্রা দেবনাথকে জামিন দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালত।

মেজর (অব.) সিনহা প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য ৩ জুলাই কক্সবাজার এসেছিলেন। এই কাজে তার সহযোগী ছিলেন সিফাত, শিপ্রা এবং তাদের সহপাঠী তাহসিন রিফাত নুর। প্রামাণ্যচিত্রের প্রযোজক ছিলেন সিনহা। তারা সবাই উঠেছিলেন হিমছড়ি সৈকত তীরের নীলিমা রিসোর্টে।

চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সিনহা নিহত হওয়ার সময় নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন শিপ্রা ও তাহসিন। ঘটনার কিছু সময় পর রামু থানার পুলিশ ওই রিসোর্টে অভিযান চালায়। পুলিশ সেখান থেকে তাদের আটক করে রামু থানায় নিয়ে যায়। থানা থেকে তাহসিনকে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হলেও শিপ্রার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। পুলিশ শিপ্রার কক্ষ থেকে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, এক লিটার বাংলা মদ এবং এক পোটলা গাঁজা উদ্ধারের দাবি করে মামলায়। তবে পুলিশের এসব ভাষ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত দল গঠন করে।

গত ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। পরদিন ৬ আগস্ট সাসপেন্ড হওয়া ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এই মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে র‌্যাবকে। আদালতে র‌্যাব প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া অনুপস্থিত দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

জেলা পুলিশের দাবি, মামলায় পলাতক থাকা এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা নামের কোনো পুলিশ সদস্য বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র ও টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিলেন না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com