মধুখালী আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যােনের জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

editor2
1. ১ মার্চ, ২০২৪ / ২৬৪ জন দেখেছেন

মো. সামাদ খান, মধুখালী, ফরিদপুর প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার সময় মধুখালী আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় ঢাকা খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন মধুবন মার্কেটের পশ্চিম পার্শ্বের অফিসে এক জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আগামি ৪মে মধুখালী উপজেলার নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১১ টা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মধুখালী উপজেলার সকল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ জনগণ। আগামী ৪মে উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ ও উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ব্যাপারে কিছু লোক উস্কানীমূলক এবং মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা প্রচার করছিল, আমি কিছুদিন শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে ভারতে ডাক্তার দেখাতে গেলে এই সুযোগে কিছু লোক গুজব ছড়ায় যে আমি অসুস্থতার কারণে আগামীতে নাকী নির্বাচন করবো না। আমি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে সুস্থ করে আপনাদের মাঝে ফিরিয়ে এনেছেন, আগামীতে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে মধুখালী উপজেলার চেয়ারম্যান হিসাবে আপনাদের পাশে থেকে সেবা করতে চাই।

এসময় তিনি আরও বলেন, গত ২৮ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালের নির্বাচনে আমি জননেতা জনাব আব্দুর রহমানের মনোনিত প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলাম, তখন আপনারা বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করে উপজেলার চেয়ারম্যান বানিয়ে ছিলেন। আমি চাই এবারের নির্বাচনেও জননেতা জনাব আব্দুর রহমানের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো ইনশাআল্লাহ ! আপনারা আমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন,আমি বিশ্বাস করি আপনারা আমার পাশে থাকলে আমি আগামি ৪ঠা মে নির্বাচনে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ!

তিনি উপস্থিত যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলিগের নেতা কর্মীদের কে বলেন যে, আমি দীর্ঘদিন যাবত শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে বেশ কিছুদিন আপনাদের কাছে থাকতে পারিনি কিন্তু আমার মনটা সব সময় আপনাদের কাছেই ছিল। কারণ বিগত দিনে জননেতা জনাব আব্দুর রহমান কে ভোট দিয়ে এমপি বানাতে গিয়ে আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আপনারা যে পরিমান কষ্ট ও ভালোবাসা সেদিন দেখিয়ে ছিলেন তা কোনদিন ভুলতে পারবো না।

আজকে আমরা ধন্য, আজকে মধুখালীবাসি স্বার্থক। কারণ আজকে আমাদের মধুখালীর কৃতি সন্তান মধুখালীর রত্ন জননেতা জনাব আব্দুর রহমান এখন মন্ত্রী। তাই এখন আর আমরা অভিভাবক হীন নই। বিগত পাঁচটি বছর আমরা অভিভাবক হীন ছিলাম। বিগত পাঁচটি বছর মধুখালীর মানুষ কতটা কষ্টের সঙ্গে জীবনযাপন করেছিলেন তা আপনারা নিজেরাই ভালো জানেন।

আমি নতুন করে কি বলবো, আমি শুধু আপনাদের কে একটি কথাই বলতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জননেতা জনাব আব্দুর রহমানকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সবাই এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন। আপনারা যদি আমাকে আপনাদের ভালোবাসা এবং ভোট দিয়ে পূনরায় নির্বাচিত করেন, আমি কথা দিচ্ছি যে, আমি জননেতা জনাব আব্দুর রহমানের সহয়োগিতায় এই মধুখালী উপজেলাকে একটা আদর্শ ডিজিটাল উপজেলা হিসাবে উপহার দিব ইনশাআল্লাহ!

এ সময় উপস্থিত শত শত সাধারন জনগণ উপজেলা চেয়ারম্যানের উপকারের কথা তুলে ধরেন এবং আগামীতে মধুখালী উপজেলার চেয়ারম্যান হিসাবে তাকেই দেখতে চায় বলে তারা জানান।

এ সময় আওয়ামীলেগর কিছু কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, অতীতে যারা মধুখালী উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, তখন যেকোন কাজে গেলেই টাকা লাগতো, টাকা ছাড়া কোন ধরনের কাজই হতোনা, তখন গ্রামের শালিস থেকে শুরু করে থানার মামলা পর্যন্ত সব যায়গায় ছিলো তাদের ক্ষমতার দাপট ও সিন্ডিকেট। আমাদের জানামতে সাধারন মানুষ কখনো টাকা ছাড়া কোন ধরনের একটা উপকারও পাইনি।

কিন্তু যে দিন থেকে শহিদুল ভাই উপজেলার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন, তারপর থেকে মধুখালীর রুপটাই বদলে দিয়েছেন। এখন আর কোন কাজেই টাকা লাগে না, শহিদুল ভাইয়ের কাছে যে কোন সম্যসা নিয়ে গেলেই খুব আন্তরিকতার সংগে দ্রুত সমাধান করে দেন।

তাই আমরা সবাই দলমত নির্বিশেষে একমত হয়ে মিলেমিশে জননেতা জনাব আব্দুর রহমানের দিক নির্দেশনায় মধুখালী উপজেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসাবে দেখতে জননেতা হাজী মো. শহিদুল ভাইকেই নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই।

এসময় মধুখালীর ১১ টা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আলচনার শেষে, জনাব হাজী মো. শহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ৪মে মধুখালী উপজেলার নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমি আপনাদের সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আল্লাহ পাক যেন  আমাকে আপনাদের ভোটের মাধ্যোমে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার তৌফিক দান করেন, এই বলে আলচনা শেষ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন