বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১০:২৩ অপরাহ্ন
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:: ফরিদপুরের মধুখালীতে গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন মুকুল কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেনির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ও ছাত্রীর দাদা বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৬ মে (বৃহস্পতিবার) ভিক্টিমের ছোট ভাই বই হারিয়ে ফেলে, বই আনার জন্য স্কুলে যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণী পুড়ুয়া শিক্ষার্থী। স্কুলের লাইব্রেরীতে তখন একাকি বসে থাকা মোক্তার হোসেন মুকুল মাষ্টারের নিকট ছোট ভাইয়ের বই হারিয়ে যাওয়ার কথা ও বই চাইলে বই দেবার কথা বলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে যায় মুকুল মাষ্টার। বই দেওয়ার পরিবর্তে মুকুল মাষ্টার শিশু শিক্ষার্থী (১১)কে একাকী পেয়ে জামার পিছনের চেন খুলে ফেলেন। সুযোগ বুঝে ছাত্রী দৌঁড়িয়ে নিজেকে মুক্ত করে বিষয়টি পরিবারকে অবগত করে। পরে এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ পরিস্থিতি সৃস্টি হয়।
অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন মুকুল মাষ্টারকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোজিনা বেগম সাংবাদিকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা শিকার করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে, প্রমানিত হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে বলেন, তাকে প্রত্যাহার করে অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোক্তার হোসেন মুকুল বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না। অভিযোগ প্রমানিত হলে চাকুরীচুত্যসহ প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে গ্রহন করা হবে।